সম্পদ দে : বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় জেলা পরিষদের ১৩টি আসনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী শুভজিৎ দাস রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের নতুন যাত্রা শুরু করেছেন। রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হওয়া সত্ত্বেও শুভজিতের প্রথম দিক থেকে রাজনীতিতে সেভাবে আগ্রহ ছিল না।
তবে, মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে কলকাতার আশুতোষ কলেজে পড়ার সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হলে তার জীবনে এক নতুন মোড় আসে। অনেকেই মনে করেন যে, রাজনীতিতে সচরাচর শিক্ষিত ব্যক্তিদেরকে দেখতে পাওয়া যায় না। তবে শুভজিৎ দাস এবার তাদের সেই ভুল ধারণাকে ভাঙতে চলে এসেছেন বলে মনে করছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি শুভজিতের ভেতরে লুকিয়ে থাকা জনকল্যাণমূলক কাজের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য উৎসাহিত করেন।
বাগদার বিধায়ক এবং তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ছেলে শুভজিৎ। এই পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে আইএএস বা আইপিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন দেখেন শুভজিৎ।
সর্বভারতীয় এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সেটি উপলব্ধি করেছেন তিনি। আর এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেই কাজ করার সুযোগ অনেকটা বেশি। সেইদিক থেকে বিচার করেই তাঁর রাজনৈতিক ময়দানে নামা।
ইউপিএসসি এর প্রস্তুতি শুরু করার আগে শুভজিৎ আশুতোষ কলেজ থেকে সাম্মানিক স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে এক বছর চাকরি করেছেন। তারপর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইউপিএসসির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। তারই মধ্যে অভিষেক ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় পঞ্চায়েত ভোটে নেমে পরলেন।
তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে শুভজিৎ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে তাঁদের চাওয়া–পাওয়ার কথা শুনছেন। সুযোগ এলে ভবিষ্যতে তাঁদের সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
: ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে ইউটিউবের এই লিঙ্কে ক্লিক করুন :
শুভজিৎ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, সমাজের সেবা করার সর্বোত্তম উপায় হল জনসাধারণের জন্য জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠা, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর চিন্তাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারবেন।
তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ জনগণের সামনে তুলে ধরে শুভজিৎ ভোটারদের কাচে গিয়ে ভোটারদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং বিচার বিবেচনার ভিত্তিতে মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বর্তমানে শুভজিৎ এর ভাবনা, যেভাবে তিনি আইএএস বা আইপিএস অফিসার হয়ে জনসাধারণের সেবা করতে চান, জনপ্রতিনিধি হয়ে তার থেকেও বেশি প্রচেষ্টা করে জনসাধারণের সেবা করবেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন