সমকালীন প্রতিবেদন : বিজেপির পর এবার সিপিএমের জয়ী প্রার্থীও তৃণমূলে যোগদান করলেন। তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে এসে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিলেন জয়ী ওই সিপিএম সদস্য। এর ফলে সিপিএম শূন্য হয়ে গেল ওই গ্রাম। বনগাঁ ব্লকের আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৭ টি আসনে তৃণমূল, ১১ টি তে বিজেপি, ১ টি আসনে সিপিএম এবং ১ টি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করতে চলেছে তৃণমূল।
এই অবস্থাতেই সিপিএমের জয়ী প্রার্থী হাসানুর রহমান মন্ডল তৃণমূলে যোগদান করলেন। এর ফলে একদিকে যেমন আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএম শূন্য হয়ে গেল, অন্যদিকে, তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮ তে। ফলে বিরোধী পক্ষের আসন সংখ্যা একটি কমে গেল।
তৃণমূলের দাবি, হাসানুর আগে তৃণমূল করতেন। একসময় তিনি তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের হয়ে কাজ শুরু করেন। এখন ভুল বুঝতে পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন। হাসানুরের মতো বিরোধী দলের অনেক জয়ী প্রার্থীই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন বলে তৃণমূলের দাবি।
এব্যাপারে আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিহারা গ্রাম থেকে জয়ী সিপিএম প্রার্থী হাসানুর রহমান মন্ডল জানালেন, 'আমার গ্রামের যে ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন, তাদের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। তাই গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে আমি তৃণমূলে যোগদান করলাম।'
যদিও এব্যাপারে সিপিএমের বনগাঁ ব্লক এরিয়া কমিটির সদস্য তাপসকুমার বিশ্বাস জানান, 'আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের একজনমাত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। তাকেও তৃণমূলের দরকার। এর মানে হচ্ছে, তৃণমূল চাইছে, বিরোধী বলে কিছু রাখা হবে না। দুর্নীতি ঢাকতেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ।'
এদিন দুপুরে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন হাসানুর রহমান মন্ডল।
: এই খবরের ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যে মাটিহারা গ্রামের ভোটারদের ভোটে হাসানুর সিপিএম প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন, সেই ভোটাররা হাসানুরের এই দলবদলের ঘটনাটিকে কিভাবে নেন, এখন সেটাই দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন