Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩

বনগাঁ দক্ষিণের ‌বিজেপি বিধায়কের স্কুল সার্টিফিকেটের সত্যতা নিয়ে হাইকোর্টে তদন্তের আবেদন ‌গোপাল শেঠের

Application-for-investigation-in-the-High-Court

সমকালীন প্রতিবেদন : ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার সময় যে স্কুল সার্টিফিকেট দাখিল করেছিলেন, সেটি না কি জাল। এমনই দাবি করে এব্যাপারে উপযুক্ত তদন্তের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন জমা করলেন বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ।

গোপাল শেঠের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় স্বপন মজুমদার যে স্কুল সার্টিফিকেট জমা করেছিলেন, সেখানে উল্লেখ ছিল, তিনি গাইঘাটার মন্ডলপাড়া হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পাশ করেছেন। পরবর্তীতে সেই সার্টিফিকেটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এরপর গোপাল শেঠ এব্যাপারে মন্ডলপাড়া হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য জানার অধিকার অর্থাৎ আরটিআই করেন। সেই আরটিআই এর উত্তরে না কি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিষ মন্ডল গোপাল শেঠকে জানিয়েছেন, ১৯৯৫–৯৬ শিক্ষাবর্ষে এই স্কুল থেকে স্বপন মজুমদার নামে কেউ অষ্টম শ্রেণী পাশ করে নি। তেমন কোনও রেকর্ড স্কুলের কাছে নেই।

এমনই দাবি করে গোপাল শেঠের অভিযোগ, স্বপন মজুমদার নিজের শিক্ষগত যোগ্যতার প্রমান হিসেবে মন্ডলপাড়া হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পাশের যে সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করেছেন, তা আসলে জাল। আর এব্যাপারেই তিনি হাইকোর্টের কাছে তদন্তের জন্য আবেদন জানালেন।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সঞ্জিব দত্তর মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট পিটিশন জমা করলেন গোপাল শেঠ। এব্যাপারে আইনজীবী সঞ্জিব দত্ত জানান, বিধানসভা নির্বাচনের সময় স্বপন মজুমদার যে শিক্ষগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা করেছিলেন, তা জাল বলে জানা যাচ্ছে। আর তার সত্যতা প্রমানিত হলে স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহন করার আবেদন জানিয়েছেন গোপাল শেঠ।

: এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :‌

উল্লেখ্য, এর আগেও গোপাল শেঠ ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর এগোয় নি। পাশাপাশি, স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধের প্রার্থী আলোরাণী সরকারও হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকেই বাংলাদেশি বলে হাইকোর্ট ঘোষণা করায় সেই আবেদনও বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে এদিন গোপাল শেঠ নতুন করে হাইকোর্টে আবেদন জানালেন। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন