Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

নেতিয়ে পরা শাকপাতা কেমিক্যালে মিনিটেই তাজা

 

Vegetables-are-chemically-fresh-by-the-minute

সম্পদ দে : শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য টাটকা ফল-সবজির উপরে সহজে আর কিছু হয় না। ছোটবেলা থেকেই আমরা প্রত্যেকে বাড়িতে শুনে এসেছি যে, বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি খাওয়া উচিত। তবে বর্তমানে কেমিক্যাল এবং ক্ষতিকারক কীটনাশকের বাজারে প্রকৃত অর্থে স্বাস্থ্যকর সবজি এবং ফল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একেবারে নেতিয়ে পরা ধনেপাতা এবং শাক বালতিতে গোলা একটি কেমিক্যাল সলিউশন এর ভেতরে চোবানোর এক মিনিটের ভেতরেই তা রীতিমতো ফুলে-ফেঁপে তরতাজা হয়ে উঠছে! দেখলে বোঝাই যাবে না যে এই টাটকা শাক ও ধনেপাতার আঁটিটা মাত্র এক মিনিট আগেই পুরো নেতিয়ে পড়েছিল।

কাঁচা সবজি বেশি সবুজ দেখানোর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই তা রঙে চোবানো হয়। এমনকি লিচুর মরশুমে লিচুর গায়ে লাল রঙের স্প্রে পেইন্ট করতেও দেখা যায় বহু জায়গায়। তবে, এই নেতিয়ে পড়া শাক সবজি কেমিক্যালে চুবিয়ে টাটকা এবং তরতাজা করার ব্যাপারটি অনেকের কাছেই বেশ নতুন।

ভাইরাল এই ভিডিও দেখার পরে অনেকেরই বক্তব্য, এভাবেই সবার চোখের সামনে মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে আজকাল। এইসব কেমিক্যালে চোবানো শাকসবজি খেয়ে সুস্বাস্থ্য হওয়া তো দূরে থাক, উল্টে মানুষ মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আবার কিছু মানুষের দাবি, কেমিক্যাল গোলা জলটি আসলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। ওটা আসলে এক ধরনের সিন্থেটিক পদার্থ, যার সংস্পর্শে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই শাকপাতাগুলি ফুলেফেঁপে তরতাজা রূপ নিয়ে নেয়। 

যদিও বেশিরভাগ মানুষের এটাই বিশ্বাস যে, কীটনাশক বা কেমিক্যাল যতই কম ক্ষতিকারক বানানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা শাক সবজির কাছাকাছি তা কখনোই আসতে পারবে না। কেমিক্যালে চোবানো সবজি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেই। 

তবে সর্বশেষে একটি কথা যেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না তা হল, বর্তমান যুগে বেশি টাকা আয়ের লোভে বহু জায়গাতেই প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের চোখের সামনেই চলে স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা করার ব্যবসা। তা সে, হতে পারে কার্বাইড দিয়ে পাকানো ফল, রঙে চুবিয়ে সবুজ করা পটল, ঝিঙে ইত্যাদি।

শুধু তাই নয়, বেশি মিষ্টি এবং লাল বানাতে ইনজেকশন পু্শ করা তরমুজে। সবেতেই চলছে টাকার লোভে স্বাস্থ্যের গলায় দড়ি পড়ানোর কাজ। আর কিছু মানুষের এই লোভের কারণেই প্রতিবছর হার্ট অ্যাটাক, কিডনি অথবা লিভার ফেলিওর বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে প্রাণ হারাতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন