Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

বিস্ময়কর বালকের ১০ বছর বয়সে মাধ্যমিক পাশ

 

Passed-secondary-school-at-the-age-of-10-years

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌সম্প্রতি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে পেরোতে হয়েছে এমন একটি মহামারীর মধ্যে দিয়ে, যা স্কুলগুলিকে বন্ধ করতে এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষাকে স্থগিত করতে বাধ্য করেছিল। তবে, উত্তরপ্রদেশের একটি বিস্ময়কর বালক মহামারীর এই ধকল পেরিয়েও রাজ্যের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে উত্তীর্ণ হয়ে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে।


আয়ান গোয়েল, মাত্র ১০ বছর বয়সী এই ক্ষুদে পড়ুয়া বেশ সহজেই দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম বিভাগ অর্জন করেছে। সেইসঙ্গে ৭৬.৬৭ শতাংশ স্কোর অর্জন করে সবাইকে চমকেও দিয়েছে। হিন্দি এবং ইংরেজিতে তার নম্বর ছিল যথাক্রমে ৭৩ এবং ৭৪, গণিতে ৮২, বিজ্ঞানে ৮৩। এখানেই শেষ নয়, সমাজবিজ্ঞান এবং কম্পিউটারে সে নম্বর পেয়েছে ৭৮ এবং ৭০।

আয়ানের কৃতিত্ব কেবল তার বয়সের কারণেই নয়, যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল, সেই জন্যও প্রশংসার দাবিদার সে। লকডাউনের সময় স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় আয়ান তার নিজের শ্রেণীর পড়াশোনা সম্পন্ন করার পরে, শ্রেণীর বাইরের পড়াশোনা করার, উচ্চ-স্তরের বই পড়া এবং সেই সিলেবাস সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিল।

তার বাবা-মা, তার ব্যতিক্রমী ক্ষমতাকে খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন। তারজন্য লকডাউন শেষ হওয়ার পরেই আয়ানকে আবার নতুন করে উচ্চ শ্রেণীতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আয়ান দ্রুত তার থেকে বড় সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

তবে সমস্যা সাধে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আইন। উত্তরপ্রদেশে বাধ্যতামূলক যে সর্বনিম্ন ১৪ বছর বয়সের নিচে কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবে না। তবে এই নিয়ম সত্ত্বেও, আয়ানের স্কুলের অধ্যক্ষ তার অসাধারণ প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি দিয়ে তাকে পরীক্ষায় বসার জন্য বিশেষ অনুমতির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আয়ানের সাফল্য সারা দেশের শিরোনামে, অনেকেই তাকে 'বিস্ময়কর বালক' বলছেন। অনেকেই এখন এই তরুণ প্রতিভাধরের ভবিষ্যতে কী আছে, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। আয়ানের কৃতিত্ব ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও নমনীয় পন্থা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে চলমান কোভিড– ১৯ মহামারীর মতো সংকটের সময়ে।

যেখানে ভারত মহামারী এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আয়ান গোয়েলের গল্পটি সকলের জন্য দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং শেখার প্রতি ভালবাসার একটি চিহ্ন এবং অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন