সমকালীন প্রতিবেদন : সঠিকভাবে সংস্কারের অভাবে একসময়কার খরস্রোতা ইছামতী আজ নাব্যতা হারিয়ে শান্ত, গতিহীন নদীতে পরিণত হয়েছে। আর তারই মধ্যে কচুরিপানা প্রতি বছর বিড়ম্বনার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। নদীতে জোয়ার–ভাটা না খেলায় এই কচুরিপানা একটি জায়গাতেই দাঁড়িয়ে থাকে।
এই নদী দিয়ে একসময় জলপথে বানিজ্য হতো। বছর কয়েক আগেও দূরদূরান্ত থেকে বড় বড় নৌকায় করে এই নদীপথে বনগাঁ শহরে সবজি, পাট সহ নানা জিনিস আসতো। কিন্তু নদীর নাব্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি নদীতে নৌকা চলাচলের বড় বাধা কচুরিপানা।
শুধু তাই নয়, এই নদীতে যারা নিয়মিত স্নান করেন, কচুরিপানার কারণে তাঁদেরও সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা জমে থাকায় নদীর জল দূষিত হচ্ছে। ফলে সেই জল ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরছে। কচুরিপানায় মৃত পশুদের দেহ আটকে থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
এইসম নানা কারণে প্রায় প্রতি বছর বনগাঁ পুরসভা এলাকায় নদী থেকে কচুরিপানা তুলে সাময়িকভাবে নদী পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হয়। এবছরও সেই উদ্যোগ নিয়ে বনগাঁ পুরসভা। বর্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এবছর অবশ্য তার আগে থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হল।
পুরপ্রধান গোপাল শেঠ এব্যাপারে জানালেন, দিন কয়েক পরেই বাংলা নববর্ষ। আর এই বিশেষ ক্ষণে বনগাঁ শহরের মানুষ যাতে ইছামতীর স্বচ্ছ জলে নতুন বাংলা বছরের নতুন সূর্যোদয় দেখতে পারেন, তারজন্য পুরসভা এলাকায় ইছামতী নদীর বুকে জমে থাকা কচুরিপানা তুলে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাইঘাটা এবং স্বরুপনগর এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সাহায্যে ইছামতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে ২৪ কিলোমিটার নদী এলাকায় এই সংস্কারের কাজ হবে। এই প্রকল্পে অবশ্য এখনই নদীর বাকি অংশ সংস্কারের কথা বলা হয় নি। আর তাই নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন