সম্পদ দে : ভারতের কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছে ব্যাপকভাবে। আর তারই ফল পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। এবছর ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই আমের মুকুল ধরেছে গাছে। আর তা দেখেই 'আম কৃষি বিজ্ঞান' এর আশা, আবহাওয়া এবছর আমের ফলনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এমন আবহাওয়া থাকলে এবছর প্রচুর ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গোটা ভারতবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং মুর্শিদাবাদের আমের চাহিদা ব্যাপক। তবে কেবলমাত্র আমাদের দেশেই নয়, বিশ্ববাজারে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের বাগানের আমের চাহিদা সর্বাধিক। আর এক্ষেত্রে এবছর ভালো ফলন হওয়ার খবরে বেশ উৎফুল্ল কৃষক মহল।
২০২২ সাল থেকেই গোটা ভারতবর্ষে পালন হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব। আর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি মরশুমে মালদা জেলা থেকে ৭৫ টি প্রজাতির আম বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছে 'দা এগ্রিকালচারাল এন্ড প্রোসেস্ড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি' বা সংক্ষেপে 'অ্যাপেডা'। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার মাধ্যমেই দেশের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা মালদার কৃষকরা অত্যন্ত উৎফুল্ল এটা জানতে পেরে যে, ফলের রাজা আমের জন্য গোটা বিশ্ব বাজারে মালদার আমের চাহিদা সর্বাধিক। গতবছর অ্যাপেডার মাধ্যমে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ৩৪ টি প্রজাতির আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। যা বাড়িয়ে এবছর হতে চলেছে ৭৫ টি।
ইতিমধ্যেই আরও জানা গেছে, জাপান থেকেও বিশেষ ধরনের ১৫ টি প্রজাতির আমের চারা মালদায় রোপন করা হয়েছে যার মধ্যে পৃথিবীর সব থেকে দামি আম 'মিয়াজাকি'–র চাষও চলছে এখানে।
আম কৃষি বিজ্ঞানের ধারণা, আগামী দু থেকে তিন বছরের মধ্যেই এই আমগুলির ফলন পাওয়া যাবে। একবার এর ফলন ঠিকঠাক মতো পাওয়া শুরু হলে বিশ্ববাজারে আমের চাহিদায় বাংলার মালদাকে সহজে ছাপাতে পারবে না অন্য কোনও রাজ্য কিংবা দেশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালদা এমনিতেই এমন একটি জায়গা যেখানকার মাটি এবং আবহাওয়া যেকোনওরকম সুস্বাদু আমের ফলনের জন্য অত্যন্ত সুমধুর।
আর তার ওপরে গত কয়েক বছরে ভারতে ঘটে যাওয়া কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলাফল পাচ্ছেন এখানকার কৃষকেরা। তাই অদূর ভবিষ্যতে আম চাষ এবং রপ্তানির রাজত্বে অঘোষিত রাজা হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে এই রাজ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন