Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বার বার অনিয়মের অভিযোগে স্কুল গেটে তালা

 

The-school-gate-is-locked

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌স্কুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিয়মের অভিযোগ তুলে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বাইরে বের করে দিয়ে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হল। একই সঙ্গে স্কুলের কতিপয় শিক্ষক–শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভও দেখালেন অভিভাবকেরা। 

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার আংরাইল মানবতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা এই অনিয়মের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একসময় টানা দুবছর এই স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধও ছিল। 

ফের নতুন করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্য শিক্ষকেরা মিলে স্কুলের প্রচুর জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষিকা মিটিং ডেকে নিজেই মিটিং না করে স্কুলে তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান। 

এই ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ভিলেজ এডুকেশন কমিটির সদস্যদের মধ্যে। এদিন তাঁরাই স্কুলে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন বলে স্কুলের এক অভিভাবক দাবি করেছেন। ঘটনার সময় অভিভাবকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

ভিলেজ এডুকেশন কমিটির এক সদস্যা তথা স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষিকা সহ স্কুলের ৩ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা তাদের ইচ্ছেমতো স্কুলে আসেন। ঠিকমতো ক্লাস করেন না। বাচ্চারা মাঠে ঘুরে বেড়ালেও তারা সেদিকে খেয়াল করেন না। গত ৫ বছর ধরে এই অনিয়ম চলছে।

স্কুলে তালা লাগিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীরকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, স্কুলের অব্যবস্থার কারণে এই স্কুলের অনেক পড়ুয়ার অভিভাবকই তাদের বাচ্চাকে অন্য স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলের অনিয়মের কথা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। 

স্কুলের বর্তমান অব্যবস্থার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেই দায়ী করলেন ওই স্কুলেরই এক সহ শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, 'প্রধান শিক্ষিকার মানসিক সমস্যা আছে। ওনার কারনেই স্কুলের এই হাল। দুবছর আগে স্কুল পরিদর্শক তাকে এই স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার তাকে এই স্কুলে কেন পাঠালেন, জানি না।'‌

স্কুলের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগের পাশাপাশি এদিনের গোটা ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিমা সরকার কোনও মন্তব্য করতে চান নি।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন