সমকালীন প্রতিবেদন : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ধর্মপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, অভিভাবকদের কয়েকজনকে ভুল বুঝিয়ে সেন্টারটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া গ্রামে একটি ব্যক্তিগত জায়গায় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। আর সেই কারণে সেন্টারটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
এই অবস্থায় স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, গ্রামের বাচ্চাদের স্বার্থে ওই ক্লাবঘরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানো হোক। অভিযোগ, সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গোপনে কিছু অভিভাবককে ভুল বুঝিয়ে, কিছু মিথ্যা সাক্ষর করে একটি প্রস্তাব উপর মহলে পাঠিয়ে দেন।
এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টারটিকে ১ কিলোমিটার দূরে খালধার এলাকায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো এদিন সেন্টার স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এই খবর পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজির হন পঞ্চায়েত সদস্য সহ বেশ কিছু গ্রামবাসী।
সেন্টার অন্যত্র সরানো যাবে না এই দাবিকে সামনে রেখে এদিন এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী মারুফা বিবিকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। কর্মী মারুফা বিবির অবশ্য দাবি, তিনি সরকারি কর্মী। সরকারি নির্দেশেই তিনি নতুন জায়গায় কেন্দ্র চালানোর ব্যবস্থা করছিলেন। সরকার যেমন নির্দেশ দেবে, তিনি সেভাবেই নির্দেশ পালন করবেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।
গোলমালের খবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থলে আসেন গাইঘাটা থানার পুলিশকর্মী, সিডিপিও, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা। তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেন। বৈঠকে ঠিক হয়, আপাতত সেন্টারটি যেখানে চলছিল সেখানেই চলবে। পরবর্তীতে প্রশাসনিক বৈঠকের মাধ্যমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন