Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

‌বনগাঁয় নাবালিকার বিয়ে রুখলো প্রশাসন

The-administration-stopped-the-marriage

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বাবা নিজের নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও বিয়ে করতে রাজী ছিল না নাবালিকা। সে পড়াশোনা করতে চায়। মেয়েকে রাজী করাতে না পেরে ভিনরাজ্যে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা অবশেষে ভেস্তে দিল প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ থানার পানচিতা গ্রামের এক বাসিন্দা তার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। বছর ১৫ বয়সের ওই নাবালিকা বর্তমানে স্কুলে পড়াশোনা করে। সে বাবার এই পরিকল্পনা জেনে যাওয়ায় সে বেঁকে বসে।

নাবালিকা তার বাবাকে জানায় যে, সে এখনই বিয়ে করতে চায় না। সে আরও পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। মেয়ে বিয়ে করতে না চাওয়ায় সমস্যায় পরে যায় বাবা। আর তখনই নাবালিকার বাবা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য অন্য পরিকল্পনা করে।

সে মেয়েকে জানায়, মেয়েকে নিয়ে সে বাইরের রাজ্যে বেড়াতে যাবে। মেয়েকে নিয়ে সে অযোধ্যায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে। বাবার এই প্রস্তাবে খটকা লাগে মেয়ের। এরপর নাবালিকার বাবার এই পরিকল্পনা কোনওভাবে জেনে যান চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা।

তারাই এরপর বনগাঁ বিডিও অফিসের প্রতিনিধি এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন নাবালিকার বাড়িতে। তাঁরা প্রথমে মেয়ের কাছ তেকে বিষয়টি জানতে চান। তাঁদের কাছে ওই নাবালিকা জানায় যে, সে বিয়ে করতে রাজী নয়। সে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু তার বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

সরকারি প্রতিনিধিরা এরপর নাবালিকার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে যে, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর সেইজন্যই অযোধ্যায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কথা শুনে নাবালিকার বাবা পরে স্বীকার করে যে, সে ভুল পথে এগোচ্ছিল।

এরপর নাবালিকার বাবা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে মুচলেকা দেয় যে, যতদিন মেয়ের বয় ১৮ বছর না হবে, ততদিন সে মেয়ের বিয়ে দেবে না। মেয়েকে আপাতত পড়াশোনা করাবে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে নিজের বিয়ে রোধ হওয়ায় খুশি ওই নাবালিকা।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন