Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

সীমান্তে ২ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার

 ‌

Golden-biscuit-recovery

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌পর পর দুদিন দুটি পৃথক অভিযানে ধরা পরলো ২ কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট। একটি ক্ষেত্রে এক পাচারকারী গ্রেপ্তার হলেও বাকিটির ক্ষেত্রে বাইক এবং সোনার বিস্কুট ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারী।

পুলিশ এবং বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা এলাকার ইটিন্ডা রোডে ইছামতি সেতুর উপরে বিশেষ নাকা চেকিং চালাচ্ছিল বসিরহাট তানার পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট থানার আইসি সুরেন্দ্র সিং এবং ট্রাফিক ওসি সুশান্ত দাস।

এই সময় এক বাইক চালককে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাকে দাঁড়াতে বলতেই সে বাইক ফেলে পালিয়ে যায়। পেছনে পেছনে বেশ কিছুটা তাড়া করলেও পুলিশ কর্মীরা ওই ব্যক্তির নাগাল পাননি।

এরপর ফেলে যাওয়া বাইকে তল্লাসী চালিয়ে সেখান থেকে ১৯ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার ওজন ২ কিলোগ্রাম। বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। পাচারকারীকে ধরা না গেলেও তার ফেলে যাওয়া বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এই সোনার বিস্কুটগুলি মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি একজন ভারতীয় পাচারকারী। 

সে এই বিস্কুটগুলি এখানকার কোনও ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। কার কাছে সে এই বিস্কুটগুলি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তা পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর জানা যাবে। ফেলে যাওয়া মোটরবাইকের নম্বর দেখে তার সন্ধান চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।

এদিকে, এই ঘটনার একদিন আগে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার তারালি সীমান্ত থেকে বাবলু মোল্লা নামে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। তার কাছ থেকে ৮ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। ওজন ৯৩৩ গ্রাম। বাজার মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। 

এই সোনার বিস্কুটগুলি ধৃত ব্যক্তি কোথা থেকে এনে কার কাছে পোঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তা জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ধৃত ব্যক্তি এবং উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলো পরে বিএসএফের পক্ষ থেকে বসিরহাট শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন