সমকালীন প্রতিবেদন : আবারও বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট ধরা পরলো সীমান্তে। এবারে এই সোনার বিস্কুট উদ্ধার হল পেট্রাপোল সীমান্তের জয়ন্তীপুর এলাকা থেকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক মহিলা পাচারকারীকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ টি সোনার বিস্কুট।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বেনাপোলের বাসিন্দা, সোনা পাচারকারী বাদল নামে এক ব্যক্তি আকলিমা সরদার নামে এক মহিলার কাছে ১৫ টি সোনার বিস্কুট দেয়। এই বিস্কুটগুলি পেট্রাপোলের আর এক সোনা পাচারকারী আসগর শেখের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল আকলিমার।
এই কাজের জন্য আকলিমাকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। সোনার বিস্কুটগুলি শাড়ির ভেতরে লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে জয়ন্তীপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করছিল আকলিমা। তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের।
এরপর আকলিমাকে আটক করে জয়ন্তীপুর বর্ডার আউটপোষ্টে নিয়ে এসে মহিলা বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে তল্লাসী চালানোর সময় ১৫ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। বিস্কুটগুলির মোট ওজন ১৭৫০ গ্রাম। বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৯৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা।
জেরায় ধৃত মহিলা জানিয়েছে, তার বাড়ি পেট্রাপোল থানা এলাকায়। এর আগেও সে এই ধরনের কারবার করেছে। এই চোরা কারবারের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে বিএসএফ। ধৃত মহিলা এবং উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলি এরপর পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার এব্যাপারে জানান, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই কাজে সাফল্যও মিলছে। বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বনগাঁ মহকুমা এলাকার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট পাচার করার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করছে চোরাকারবারীরা। আর তাই বিএসএফকেও সর্বদা সতর্ক থাকতে হচ্ছে।





.jpeg)





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন