Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বিবাদের জেরে বাধা মাছ ধরায়, অবরোধ মৎস্যজীবীদের

Blockade-fishermen

সমকালীন প্রতিবেদন : সরকারিভাবে লিজ নিয়েও জলাশয়ে মাছ ধরতে পারছেন না কো–অপারেটিভের মৎস্যজীবীরা। বার বার তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর এর পেছনে রাজনৈতিক কিছু নেতার মদত রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মৎস্যজীবীরা।

উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাঁচপোতা বাওড় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে দু গোষ্ঠীর মধ্যে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই বাওড়ের দুপারের মৎস্যজীবীদের মধ্যে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গোলমাল চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে গত ১১ বছর ধরে এই বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।

আরও জানা গেছে, এই বাওড়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকার দুই মৎস্যজীবী গোষ্ঠীর মধ্যে ২০১৬ সালে বড় ধরনের গোলমাল বাধে। সেই সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ জায়গায় পৌঁছে যায়। অবস্থা সামাল দিলে প্রশাসনকে হিমসিম খেতে হয়।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নির্দেশে এই বাওড়ে মাছ ধরার ব্যাপারে আরও কড়া পদক্ষেপ করে প্রশাসন। দুপক্ষকেই এই জলাশয়ে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। ফলে সমস্যায় পরে যান এলাকার মৎস্যজীবীরা।

এদিকে,  গোপালনগরের পাঁচপোতা ফিসারমেন্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই বাওড়ে মাছ ধরার জন্য সরকারিভাবে লিজ নিয়েছেন তারা। এব্যাপারে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্রও রয়েছে। তারপরেও তাদেরকে বারে বারে মাছ ধরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

মাছ ধরতে দেওয়ার দাবিতে সোমবার দুপুর ১ টা থেকে গোপালনগর–সিন্দ্রানী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন পাঁচপোতা ফিসারমেন্স কো-অপারেটিভ সোসাইটির মৎস্যজীবীরা। রাস্তার উপর বেঞ্চ, গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা। অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবরোধকারীদের বক্তব্য, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার এই সমস্যার কথা জানিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। মাছ ধরতে না পেরে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গোপালনগর থানার পুলিশ। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন