সমকালীন প্রতিবেদন : সবজি কাটা বটি দিয়ে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ওই ব্যক্তি। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাল্লা আদিবাসী পাড়ার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আহত ব্যক্তির নাম শ্যামল মুন্ডা। বাড়ি পাল্লা আদিবাসী পাড়ায়। বাড়িতে স্ত্রী এবং ২ সন্তান রয়েছে তাঁর। গত ৬ মাস ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য তিনি নিয়মিত ওষুধও খান।
বুধবার সকালে শ্যামলের ভাই বিমল মুন্ডা বাড়ির শৌচাগারে গিয়ে রক্ত পরে থাকতে দেখেন। শৌচাগারে কিভাবে রক্ত এলো, তা জানতে মায়ের কাছে খোঁজ নেন বিমল। আর তখন তাঁদের সন্দেহ হয় দাদার উপর। এরপর দাদাতে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানান যে, তিনি নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছে।
এরপর রান্নাঘরের বটিতে রক্তের দাগ দেখে পরিবারের সন্দেহ হয় যে, ওই বটি দিয়ে তিনি এমন কান্ড ঘটিয়েছেন। শ্যামল বাড়ির লোকেদের জানান যে, মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় বটি দিয়ে এই কান্ড করে পুরুষাঙ্গ বাড়ির পাশের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছেন।
অসুস্থ ব্যক্তির মা জানান, মাস কয়েক ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছে শ্যামল। একদিন স্বাভাবিক আচরণ করলেও পরক্ষণেই সে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আর তাই তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়। সে নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যে মেন কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে, তা তাঁরা বুঝতে পারেন নি।
ঘটনার কথা জানতে পেরেই পরিবারের লোকেরা শ্যামলকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎকেরা তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন