সমকালীন প্রতিবেদন : নদী বাঁধে ধস। আর তার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। বাঁধ ভেঙে যেকোনও সময় জমিতে নোনা জল ঢুকে যাওযার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর তা হলে পাকা ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন গ্রামবাসীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবার রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরালয় গ্রামে নদী বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। দুর্যোগের পর গ্রামের কৃষকেরা এবছর জমিতে ফসল চাষ করেছেন। ধান পাকার মুখে। আর কয়েকদিন পর পাকা ফসল ঘরে তোলার সময় হযে যাবে।
আর সেই মুহূর্তেই নদীর বাঁধে ফাটল এবং ধসের সৃষ্টি হয়েছে। আর তার কারণেই আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকার কৃষকেরা জানালেন, সুন্দরবনের শেষ সীমানায় বসবাস করছেন তাঁরা। বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপর্যন্ত হয়ে পরছে তাঁদের জনজীবন।
শীতের মরসুমে এখন পাকা ধান ওঠার সময়। আর তখনই নদীবাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরেছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের বক্তব্য, মাটি, প্লাস্টিক দিয়ে বাঁধ দেওয়া হলেও সেই বাঁধ স্থায়ী হচ্ছে না। গ্রামবাসীরা জানান, পাকা বাঁধের ব্যবস্থা না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
এদিকে, সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিবারই কোনওমতে মেরামতির কাজ সেরে চলে যায় সেচ দপ্তর। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। গ্রামবাসীরা এখন আশায় রয়েছে কবে তৈরি হবে কংক্রিটের বাঁধ। সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সুন্দরবনবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন