সমকালীন প্রতিবেদন : তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল গুলি। ছুটে আসা সেই গুলি থেকে ছাত্র নেতাকে বাঁচাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সর্দার। বর্তমানে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার তাঁর পিঠে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়।
সিরাজুল বেশে নামে এক তৃণমূল কর্মী সোমবার রাতে শাঁকচূড়া বাজার এলাকায় একটি গোলমালে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বুলবুল।
তাঁর অভিযোগ, সিরাজুল সেখানে এক যুবককে অন্যায়ভাবে মারধোর করছিল। তার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। ইতিমধ্যেই গোলমালের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা।
আশরাফুজ্জামানের অভিযোগ, সিরাজুলকে বোঝাতে গেলে আচমকাই সে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়। এই দৃশ্য দেথে পুলিশকর্মী প্রভাত সর্দার তাঁকে বাঁচাতে গেলে গুলি প্রভাত সর্দারের বাঁ কাঁধে লাগে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই পুলিশকর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর সেখানে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মীকে তাঁর সহকর্মীরা উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বসিরহাট এলাকা। অভিযুক্ত সিরাজুলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় নামেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হয়। টাকি গভমেন্ট কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখান টিএমসিপির কর্মীরা।
অন্যদিকে, এই গুলি কাণ্ডে এদিন রাতেই ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে খুন করার চেষ্টা এবং অস্ত্র মামলায় অভিযোগ রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৩ টি ধারালো অস্ত্র, ২ টি বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের এদিন বসিরহাট আদালতে তোলা হয়।
হামলার ঘটনায় ধৃতদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার তৃণমূলের একাংশ বসিরহাট থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে। বেশ কিছুক্ষণ এই বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দেয়। অসুস্থ পুলিশ কর্মীকে দেখতে এদিন বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে যান তাপস মিত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন