সমকালীন প্রতিবেদন : পুজোর দিনগুলিতে কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়ারের জমায়েত এক অন্য মাত্রা পায়। দূরত্বের কারণে বনগাঁ থেকে যারা সেই স্বাদ নিতে পারেন না, তাঁদের জন্য বনগাঁর সোনালী স্পোর্টিং ক্লাব তাদের পুজো প্রাঙ্গণে সেই পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে। এক্ষেত্রে তারা অনেকটাই সফল হয়েছে।
এবছর সোনালী স্পোর্টিং ক্লাবের দশম বর্ষ। পুজোর পাশাপাশি প্রতিদিনই পুজো প্রাঙ্গণে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। অষ্টমী এবং নবমীতে বিশেষ আড্ডা বসে। সেখানে ক্লাবের নানা বয়সের সদস্য–সদস্যাদের পাশাপাশি বাইরের মানুষেরাও হাজির হন এই আড্ডার আনন্দ নিতে।
এদিকে, বুধবার দশমী শেষ হতেই এদিন বিকেল থেকে বনগাঁ থানার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ শুরু হয়েছে। বনগাঁ পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইছামতী নদীতে এই প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ চলছে। এই কাজ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য সুন্দরবন এলাকা থেকে বিশেষ দলকে আনা হয়েছে।
বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ জানান, প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামোগুলিকে তুলে অন্যত্র সরিয়া রাখা হচ্ছে। একটি কাঠামো তৈরি করতে অনেক অর্থ খরচ হয়। আর তাই সেই কাঠামোগুলিকে নতুন করে যাতে প্রতিমা শিল্পীরা ব্যবহার করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
প্রতিমাকে বরণ করে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। ঢাকের বাদ্যিতে কোমর দোলাতেও দেখা যায়। বিভিন্ন ক্লাব এবং বাড়ির প্রতিমাগুলিকে সারিবদ্ধভাবে থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করানো হয়। এরপর সিরিয়াল অনুযায়ী এক এক করে ঘাটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে থানার ঘাট এবং রায় ব্রিজের উপর ভিড় জমান বহু মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন