Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বিধি মেনে টা‌কির ইছামতীতে প্রতিমা নিরঞ্জনে বিধি আরোপ

 ‌

Rules-for-the-removal-of-idols-in-Takir-Ichamati

সমকালীন প্রতিবেদন : প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে নদীবক্ষে একাকার হয়ে যায় দুই বাংলা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের টাকিতে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে মিলেমিশে এক হয়ে যান দুই বাংলার মানুষ।

কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষার কারণে গত কয়েক বছর ধরে এই চিত্র বদলে গেছে। এবছরও কড়া নিয়মবিধির মধ্যে দিয়ে ইছামতী নদীবক্ষে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই পুরনো চিত্র আর দেখা যাবে না।

বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার অর্ন্তগত ইছামতী নদীর একদিকে ভারত, অন্যদিকে বাংলাদেশ। ইছামতী নদী এখানে আর্ন্তজাতিক সীমানা নির্ধারণ করে রেখেছে। ফলে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে নদীবক্ষে সর্বক্ষণ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কড়া প্রহরা থাকে। 

দশমীর দিন দুপুর থেকে সেই কড়া নিরাপত্তা কয়েক ঘন্টার জন্য অলিখিতভাবে শিথিল হয়ে যায়। কারণ, ওই সময় ইছামতী নদীতে দুর্গাপ্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়ার জন্য দুপারের মানুষ প্রতিমা নিয়ে হাজির হন। এরপর নৌকা করে চলে প্রতিমা নিরঞ্জনের অভিনব পর্ব। 

সেইসময় আর্ন্তজাতিক সীমারেখা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। কয়েক ঘন্টার জন্য নদীবক্ষ দুই বাংলার মিলনক্ষেত্রে পরিনত হয়। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে টাকির ইছামতী নদীতে সেই আবেগঘন মুহূর্তে সাক্ষী হতে হাজির থাকতেন দুপারের হাজার হাজার মানুষ।


কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই চেনা ছবির বদল ঘটেছে। মূলত ২০১০ সালের পর থেকে ওপার বাংলার নৌকাগুলি প্রতিমা নিয়ে নদীতে আসা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি, করোনার কারণে গত দুবছর ধরে এপারের প্রতিমা এখানে নিরঞ্জনের জন্য এলেও আগের সেই পরিচিত দৃশ্য ধরা পরছিল না।

এবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকলেও সেক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ জারি থাকছে। কিভাবে এই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য নদীবক্ষে বৈঠক করলেন দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং বসিরহাট পুলিশ জেলার পদস্থ আধিকারিকেরা।

এবছর ৫ অক্টোবর, বুধবার দশমী। জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত টাকির ইছামতী নদীতে নৌকায় প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলবে। তবে নদীর মাঝ বরাবর নৌকা সহ অন্যান্য জিনিস দিয়ে সীমারেখা টেনে দেওয়া হবে।

দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে একদেশের নৌকা যাতে আর এক দেশের সীমানায় প্রবেশ করতে না পারে, তারজন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। ফলে এবছরও প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে ইছামতী নদীবক্ষে দুই বাংলা একাকার হয়ে যাওয়ার সেই চেনা দৃশ্য আর ধরা পরবে না।








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন