Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চালাতে আর মোবাইল টাওয়ার লাগবে না

 

No-mobile-tower-needed

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চালাতে আর মোবাইল টাওয়ার লাগবে না

অজয় মজুমদার

একটা ভালো খবর আছে৷ এতদিন ধরে মোবাইল ফোন ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে নানারকম আলোচনা, সমালোচনা চলছিল। স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতির দিকটা বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখছিলেন৷ এতদিন ধরে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পূরণ হবার নয়। নতুন করে যে তত্ত্ব ও তথ্য জানতে পারা গেল তা হল, স্যাটেলাইট থেকে পুরো অ্যান্ড্রয়েড ফোন কন্ট্রোল করা যাবে৷ ইন্টারনেট থেকে সমস্ত কাজই মোবাইল ফোনে চালানো সম্ভব। তাই অন্তত আর যাই হোক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা গেল। 

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নতুন করে জনস্বাস্থ্যকে আর বিপন্ন করতে পারবে না৷ প্রযুক্তির এই নতুন দিক আবিষ্কার হতেই বিজ্ঞানী মহলে বেশ একটা আলোড়ন ও সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের যে কম্পন পাখি থেকে শুরু করে অনেক প্রাণী ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছিল, তার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে৷ 

বাড়িতে ছোট্ট একটি অ্যান্টেনা লাগিয়ে রাখতে হবে। ওই অ্যান্টেনাতেই সমস্ত কাজ হবে৷ জনস্বাস্থ্যের উপর যে প্রভাব এতদিন ধরে ছিল, তার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানের চর্চায় যে সাফল্য এসেছে, তা  প্রশ্নাতীত৷ দেশে দেশে স্পেস রিসার্চ হচ্ছে৷ কোন দেশ কতটা এগিয়ে তার গবেষণার সাফল্য থেকেই বোঝা যায়৷ 

আগামী দিনে স্পেস রিসার্চের গবেষণায় সফলতা এলে বাস্তুসংস্থানকে অনেকটাই নিরাময় করা যাবে। জীবকুলকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে। অনেক রোগকে মুক্ত করা যাবে। যখন-তখন কোষের মধ্যে মিউটেশন হয়ে জিনের পরিবর্তন হবে না৷ ফলে ক্যান্সার জাতীয় রোগের সংখ্যা কমতে বাধ্য। 

এই গবেষণা শুধু যে জনস্বাস্থ্যের ওপরেই কার্যকারী হবে তাই নয়৷ ইকোলজিক্যাল ব্যালেন্সটা ভালো জায়গায় দাঁড়িয়ে যাবে। বলা যায়, পৃথিবীর পরিবেশ নতুনভাবে সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হবে। এই আশা রেখে বর্তমান প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন।

যদিও মোবাইল টাওয়ার ছাড়াও অনেক কাজই এখন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হয়ে থাকে৷ সেইজন্যই আজ পৃথিবীকে এক ছাদের নিচে এনে ফেলেছে৷ একটা টার্ম বাজারে চালু হয়েছে, তা হলো গ্লোবাল ভিলেজ৷ স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সিস্টেম সারা পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে৷ 

তবে এখানে সেই একটা কথা থেকেই যাচ্ছে, কতখানি গোপনীয়তা থাকবে স্বরাষ্ট্র ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির দিক৷ তবে বিজ্ঞানের সুফলগুলি সারা পৃথিবী ভাগ করে নিতে পারবে৷ এর অন্যতম কারণ হলো আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আইন৷ যে দেশ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই কাজটি আগে করতে পারবে, সে–ই পেটেন্টের অধিকারী হবে। 

যদি একসঙ্গে দুটি দেশ করে, তাহলে দুটি দেশই পেটেন্টের অধিকারী হবে। তারা তাদের গবেষণাপণ্যকে অন্য দেশের কাছে বিক্রিও করতে পারবে৷ সুতরাং সেই অর্থে বিজ্ঞানের সাফল্যগুলি সারা পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তে পাওয়া সম্ভব হতে পারে৷ যদি সেই দেশের আর্থিক সামর্থ্য থাকে বা মৌলবাদী মনোভাব না থাকে তবেই৷‌




1 টি মন্তব্য:

  1. আরও কিছু মানুষ রোজগার হারাবে! জয় হোক ধনতান্ত্রিক বিজ্ঞানের!

    উত্তরমুছুন