শম্পা গুপ্ত : সর্পদেবীর আরাধনায় এলাকার মানুষ হাঁস এবং পাঠা বলি দিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিনের এই রেওয়াজ চলে আসছে জঙ্গলমহলের জেলা পুরুলিয়াতে। আর তাই এই পুজোকে ঘিরে হাঁস ও পাঠার বাজার জমে উঠলো।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে দীর্ঘ দুবছর পর জঙ্গলমহলের অন্যতম লৌকিক দেবী মনসার পুজোয় মেতে উঠেছেন মানভূমের মানুষ। জমে উঠেছে হাঁস ও পাঠার বাজার। ফলে এই পুজোকে ঘিরে এই সময় বিপুল সংখ্যক হাঁস এবং পাঠার চাহিদা দেখা দেয়।
গত দুবছর করোনার জন্য নামমাত্র আয়োজনের মাধ্যমে পুজো হয়েছে এই লৌকিক দেবীর। ফলে হাঁস এবং পাঠার বিক্রিও হয়েছিল খুব কম। এবছর পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বদল ঘটেছে। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে মহা ধুমধামের সঙ্গে পুজোর আয়োজন হয়েছে।
শুধু পুরুলিয়া জেলাই নয়, পরিস্থিতি বুঝে ভিন জেলাগুলি থেকেও হাঁস এবং পাঠা আমদানি করা হয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। এদিন ওজন অনুযায়ী একেকটি হাঁস আড়াইশো থেকে চারশো টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ভাল দাম পাওয়া গেছে পাঠারও। স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিক্রেতারা।
হাঁস ও পাঠা পালন এবং বিক্রি করে এবছর লাভের মুখ দেখেছেন গ্রামের বহু মানুষ। ফলে খুশি তাঁরা। তাঁদের কথায়, পুরুলিয়া জেলায় কৃষিকাজ খুব বেশি করা সম্ভব হয়না। প্রাণী পালন এখানে রোজগারের অন্যতম বিকল্প পথ।
গ্রামাঞ্চলে হাঁস ও পাঠা পালন এখন অনেকটাই বেড়েছে। অনেকেই মনসা পুজোর দিকে লক্ষ্য রেখে হাঁস ও পাঠা পালন করেছেন। আজ থেকেই জেলা জুড়ে মনসা পুজোয় মেতেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন