সমকালীন প্রতিবেদন : প্রাথমিক শিক্ষকের পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের হল বনগাঁর তৃণমূল নেতা সুকান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে। বনগাঁর শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত কুন্ডু বনগাঁ থানায় এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে বাগদার চন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে তার সন্ধান চালাচ্ছে সিবিআই। এরই পাশাপাশি, বনগাঁর চন্দন হিসেবে নাম উঠে এসেছে তৃণমূলের এসসি, এসটি সেলের জেলা সভাপতি সুকান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে।
বনগাঁ হাইস্কুলের শিক্ষক সুকান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরি দেওয়া, কর্মস্থল বদল করার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। মঙ্গলবার এমনই একজন প্রতারিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুন্ডু বনগাঁ থানায় সুকান্তর বিরুদ্ধে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রশান্ত কুন্ডু এবং তাঁর মেয়ে পারমিতা দাস কুণ্ডুর অভিযোগ, প্রাইমারীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে সুকান্ত মাহাতো ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। চাকরী দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবে, এইমর্মে কাগজে লিখিত চুক্তিও হয়। কিন্তু সেই চুক্তি ভঙ্গ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হল।
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, আইন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আছে। কেউ দোষী হলে সে শাস্তি পাবে। এব্যাপারে অবশ্য অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুকান্ত মাহাতোর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন