সমকালীন প্রতিবেদন : আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠায় মন্ত্রীত্বের পাশাপাশি দলের ৫ টি পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করল তৃণমূল। আর এই কঠোর সিদ্ধান্তগ্রহণের মধ্যে দিয়ে দলের সমস্ত নেতা, কর্মীদের উদ্দেশ্যে নতুন বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২২ জুলাই ইডির হানার পর ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। সঙ্গে গ্রেপ্তার হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে পার্থ ঘনিষ্ঠও। এরপর একে একে তল্লাসী অভিযানে অর্পিতার বিভিন্ন ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা এবং সোনা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য, দেশ।
সংবাদ মাধ্যম এবং সোস্যাল মিডিয়ায় এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পরতে হচ্ছে তৃণমূল দলকে। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী, প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন, এতোবড় ঘটনার পর দল কী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করবে না ?
অভিযোগ ওঠার পর থেকেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। দলীয় নেতৃত্ব ঘটনার উপর নজর রেখে চলেছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ঘোষনা করবে। আর সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মন্ত্রীসভার বৈঠক করে সেখানকার সিদ্ধান্ত সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন।
সেখানে তিনি ঘোষনা করেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত মন্ত্রীপদ থেকে অপসারিত করা হচ্ছে। এর পরপরই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেন যে, দলের একজন বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ৫ টি পদের দায়িত্বে ছিলেন, সেই সব পদ থেকে আপাতত তাকে অপসারিত করা হল। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দোষ প্রমান করে আসার পর তাকে ফের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন অভিষেক।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তৃণমূল সাধারণ মানুষের দল। এখানে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে সম্পত্তির মালিক হবে, তা বরদাস্ত করবে না দল। এই বক্তব্যের মাধ্যমে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। আর এভাবেই দল আরওবেশি শুদ্ধিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছে সব পক্ষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন