সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলের পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের আবেগের কাছে একপ্রকার হার মানলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক। শেষপর্যন্ত নিজের বদলির আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন বনগাঁর ধর্মপুকুরিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক।
২০০৯ সালে প্রথমে সহ শিক্ষক হিসেবে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন শিক্ষক তন্ময় বসু। পরে তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব পান। পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের দাবি, তন্ময়বাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্কুলের অনেক উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, টানা ১২ বছর এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার পর এখন বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে যেতে চেয়ে শিক্ষা দপ্তরে আবেদন জানান শিক্ষক তন্ময় বসু। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর বদলির নির্দেশও চলে আসে। আর সেই খবর জানাজানি হতেই মঙ্গলবার স্কুলে উপস্থিত হয়ে তন্ময়বাবুকে বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল করার অনুরোধ করেন অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা।
তাঁদের এই আবেগের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানেন শিক্ষক তন্ময় বসু। বদলির ভাবনা থেকে সরে এই বিদ্যালয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মর্মে তিনি তাঁর ইচ্ছের কথা লিখিত আকারে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে জানিয়েও দেন। তিনি জানান, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পাব ভাবি নি। শিক্ষকতার জীবনে এটাই বড় প্রাপ্তি।
অভিভাবকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে শিক্ষক তন্ময় বসু বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় খুশি স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকেরা। তাঁরা ওই শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যখন নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, সেখানে এক শিক্ষকের বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে আবেদন জানাচ্ছেন অভিভাবক, পড়ুয়ারা। আর তাতেই পরিষ্কার, শিক্ষক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করলে, তার প্রাপ্তি, সম্মান আলাদা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন