সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ে নয়, পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারের এক মেধাবী ছাত্রী। এব্যাপারে বিধায়কের কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছিলেন ওই ছাত্রী। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বিধায়ক।
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী গত ২৮ মে তাঁর বিধানসভা এলাকার বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঠিবাড়ি এলাকায় স্থানীয় মানু্ষদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। 'জনতার দরবার' নামের এই কর্মসূচিতে এলাকার মানুষেরা তাঁদের সমস্যার কথা বিধায়কের কাছে তুলে ধরেন।
সেখানেই ওই এলাকার সুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা জুলেখা ইয়াসমিন নামে এক ছাত্রী বিধায়কের কাছে আবেদন করে জানান, তিনি অঙ্কে অনার্স পাশ করেছেন। এম এসসি করতে চান। কিন্তু ওই ছাত্রীকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর পরিবারের উপর একপ্রকার চাপ সৃষ্টি করছেন প্রতিবেশীরা। তবে তিনি বিয়ে করতে চান না। আরও পড়াশোনা করে চাকরি করে নিজের পাশে দাঁড়াতে চান।
সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে সরাসরি হাজির হলেন বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী। তিনি জুলেখার বায়োডেটা চেয়ে নেন। আর তিনি যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান, তারজন্য আংশিক সময়ের জন্য একটি কাজের ব্যবস্থার পাশাপাশি চাকরির পরীক্ষার জন্য কোচিং এর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নেন বিধায়ক।
বিধায়কের এই ভূমিকায় খুশি ছাত্রী জুলেখা নতুন করে আশার আলো দেখছেন। শুধু জুলেখাই নন, তাঁর এলাকায় আরও যদি এমন অভাবী–মেধাবী পড়ুয়ার সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তাদের পাশেও থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন