Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২

গোবরডাঙা থেকে উদ্ধার প্রচুর কচ্ছপ

 

Lots-of-turtles-rescued

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌কচ্ছপ কারবারের এ এক নতুন কৌশল। ঘরের মেঝের নিচে গর্ত খুঁড়ে সেখানে জমিয়ে রাখা হতো কচ্ছপ। আর পরে সময়–সুযোগ বুঝে সেই কচ্ছপ পাচার করা হতো অন্যত্র। অভিনব এই কারবারের খোঁজ পেয়ে হানা দিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর কচ্ছপ।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কচ্ছপ ধরা বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে লুকিয়ে চুরিয়ে, কখনওবা প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হয় এই কচ্ছপ। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীগুলিকে চোরা পথে নানাভাবে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়।

এরপর সেগুলিকে কখনও স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে আবার কখনও বাংলাদেশে পাচার করা হয়। বাজারে আগে মূলত এগুলি শীতকালে বিক্রি হতো। আর এখন প্রায় সারা বছরই বিক্রি হচ্ছে। খবর পেয়ে মাঝেমধ্যেই বন দপ্তরের আধিকারিকেরা হানা দিয়ে উদ্ধারও করে সেইসব কচ্ছপগুলি।

এদিকে, জেলা বন দপ্তরের কাছে গোপন সূত্রে খবর যায় যে, গোবরডাঙা থানার গণদীপায়ন এলাকায় গৌতম মজুমদার নামে এক কচ্ছপ কারবারী দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়ির মেঝের নিচে গর্ত খুঁড়ে সেখানে কচ্ছপ লুকিয়ে রেখে কারবার চালাচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে জেলা বন দপ্তরের একটি দল তার বাড়িতে হানা দেয়।

আর সেই খবরের সত্যতার প্রমান পান বন দপ্তরের আধিকারিকেরা। তার বাড়ির মেঝের নিচ থেকে উদ্ধার হয় ২১৫ টি জীবিত কচ্ছপ এবং ৯ টি মৃত কচ্ছপ। এগুলি বিভিন্ন প্রজাতির। তবে কচ্ছপের কারবারী গৌতম মজুমদার আগে থেকেই পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ধারায় মামলা রুজু করেছে বন দপ্তর।  

জীবন্ত কচ্ছপগুলিকে বারাসত এলাকার বিশেষ স্থানে রেখে দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বন দপ্তর। আরও জানা গেছে, এর আগে ২০২০ সালে কচ্ছপ পাচার কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গৌতম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন