Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

‌বনগাঁর 'চন্দন'‌ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ

Complaints-on-social-media

সমকালীন প্রতিবেদন : বাগদার চন্দন মন্ডলের ছায়া এবার বনগাঁ শহরে। চাকরি দেওয়া, ট্রান্সফার করার মতো সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতা তথা হাইস্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠলো। আর সেই অভিযোগ সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে।

ওই তৃণমূল নেতার নাম সরাসরি না করে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বনগাঁর এই চন্দনের বাড়ি ছয়ঘরিয়া এলাকায়। তিনি বনগাঁ হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। স্ত্রী ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের সদস্যা। এই চন্দন বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটার প্রচুর মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে, কখনও ট্রান্সফারের নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করে বসে আছে। এই চন্দনের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি করার পাশাপাশি যারা টাকা দিয়েছেন, তারা টাকা ফেরত পেতে চাইলে যেন তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন, এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সোস্যাল মিডিয়ার এই পোষ্ট ঘিরে বনগাঁয় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বনগাঁ শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর আঢ্য জানিয়েছেন, তারকাছেও কয়েকজন এব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। তবে দল এই ধরনের কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। যারা টাকা দিয়েছেন, আর যিনি টাকা নিয়েছে, তারা বিষয়টি নিজেদের মধ্যে বুঝে নেবেন। 

বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল সরাসরি ওই তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর ক্ষোভ এবং অভিযোগ প্রকাশ করলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বনগাঁর এই চন্দন মন্ডল চাকরি এবং ট্রান্সফার করিয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। অবিলম্বে সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত করুক, এমন দাবি করেন তিনি। আর তাতে অনেক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

যারা ওই তৃণমূল নেতাকে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন, তাঁরা অভিযোগ করলেন, সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে একজন ৪ লক্ষ এবং একজন দেড় লক্ষ টাকা ওই তৃণমূল নেতাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি চাকরিও দেন নি, টাকাও ফেরত দেন নি। তাঁরা চান, তাঁদের দেওয়া টাকা যেন তাঁরা ফেরত পান।

তবে যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা সুকান্ত মাহাতো গোটা বিষয়টি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করলেন। তিনি দাবি করেন, তার কাছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপকার নিতে আসেন। আর যে নেতাদের কাছে এখন মানুষ এখন যাচ্ছেন না, উপকার পাচ্ছেন না, তারাই মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

এব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ মনে করেন, যদি কেউ অন্যায়ভাবে টাকা নিয়ে থাকে, তাহলে উপযুক্ত প্রমান দিন। দল তদন্ত করে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষ আসলে অন্য রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। 

এই মুহূর্তে বাগদার চন্দন মন্ডল নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই খুঁজে বেড়াচ্ছে তাকে। তার উপর বনগাঁ শহরে আর এক চন্দনের খবর সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরায় ফের এব্যাপারে আলোড়ন শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে দল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন