Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

বাগদায় ‌ব্যবসায়ী খুনে অবরোধ, পুলিশের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ৪

 

Attack-on-police-arrest-4

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বাগদায় ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারর দাবিতে রাস্তা অবরোধ এবং তার জেরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৪ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে ৪ গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ঘটনার জেরে এখনও থমথমে বাগদার বাজিতপুর এলাকা।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার বাজিতপুর এলাকায় ইছামতী নদীর উপরের সেতুতে একটি গোলমালের জেরে অচেনা দুই যুবকের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন এলাকার ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (‌৪৩)। বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই বাজিতপুর গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

মৃতের স্ত্রী মানালী বিশ্বাসের বক্তব্য, 'তাঁর স্বামীর সঙ্গে কারোর শত্রুতা ছিল না। মানুষের উপকার করতো। পুলিশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল, তবুও এই বিপদের দিনে সেই পুলিশ কর্মীরাই আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায় নি। আমার স্বামীর মতো একজন মানুষকে এভাবে যারা খুন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।' ঘটনার সময় বাগদা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারও উপস্থিত ছিল বলে দাবি পরিবারের।

ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার রাতে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসা শুরু হয়। এক সময় তা হাতাহাতিতে পরিনত হয়। পুলিশের অভিযোগ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। আর তার জেরে ৪ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, মহাদেব কর্মকার, সাধন ঘোষ এবং রবীন কর্মকার নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে, মৃত ব্যবসায়ী রবীন বিশ্বাসের বৃদ্ধ বাবা সঞ্জিত বিশ্বাসের আক্ষেপ, এতোবড় ঘটনা ঘটার পরেও বাগদা থানার কোনও পুলিশ কর্মী তাঁদের বাড়িতে আসার প্রয়োজন বোধ করেন নি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন নি। ফলে পুলিশের উপর ভরসা হারিয়ে তিনি পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেন নি। তিনি চান, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে আসল সত্য বেরিয়ে আসুক।

যদিও পুলিশ জানিয়েছে মৃত রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের এক দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু অভিযুক্তরা অপরিচিত, ফলে তাদের সনাক্ত করতে সময় লাগছে। পুলিশের আশা, খুব তাড়াতাড়ি তারা এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হবে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন