সমকালীন প্রতিবেদন : বিরোধী দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ইলেকশন পিটিশন জমা করতে গিয়ে আবেদনকারীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল হাইকোর্ট। আর তারই বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী আলোরাণী সরকার। অন্যদিকে, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সভাপতি গোপাল শেঠ হাইকোর্টের কাছে মৌখিক আবেদনে জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের দাখিল করা স্কুল সার্টিফিকেট সঠিক কি না, সেটিও বিচার করে দেখা হোক।
২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে মাত্র ২০০৪ ভোটে বনগাঁ দক্ষিন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী আলোরাণী সরকার। এরপর তিনি অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে একটি ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেন।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, এই কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার যে স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পাশ করেছিলেন বলে নির্বাচন দপ্তরের কাছে ঘোষনাপত্র জমা দিয়েছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি আদৌ সেই স্কুলে পড়াশোনা করেন নি বলে আরটিআই করে তাঁরা জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেন আলোরাণী সরকার।
এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে স্বপন মজুমদারের আইনজীবী হাইকোর্টের কাছে নথি জমা দিয়ে অভিযোগ করেন, ভারতের পাশাপাশি আলোরাণী সরকার বাংলাদেশেরও নাগরিক। সেদেশের ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম রয়েছে।
এই দাবি খতিয়ে দেখে হাইকোর্টের বিচারক বিবেক চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে একজন মানুষ এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কিভাবে অংশ নিতে পারেন ? বিষয়টি নির্বাচন দপ্তরকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে।
এব্যাপারে আলোরাণী সরকার অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন। সেখানকার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এব্যাপারে তিনি ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করবেন। তিনি আরও জানান, তাঁর বিয়ে বাংলাদেশে হলেও তাঁর জন্ম হুগলী জেলায়, ১৯৬৯ সালে। এদেশের নাগরিক হিসেবে সমস্তরকম নথি তাঁর আছে।
এদিকে, এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ দাবি করেন, আলোরাণী সরকার কোন দেশের নাগরিক, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সেইরকম স্বপন মজুমদারের স্কুল সার্টিফিকেটটিও যাচাই করে দেখুক আদালত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন