শম্পা গুপ্ত : কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনার রহস্য আরও ঘনীভূত হল। বুধবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁরই নিজের ঘরের ভিতর থেকে৷ প্রত্যক্ষ্যদর্শীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আরও জটিল হয়ে উঠেছে পুরুলিয়ার ঝালদার এই খুনের ঘটনা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো গোটা এলাকা৷
মঙ্গলবারই ঝালদায় পুরবোর্ড গঠনের আগে ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হয়। হেনস্থার শিকার হন মহিলা কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তার প্রতিবাদে কংগ্রেস আজ, বুধবার ১২ ঘন্টা ঝালদা মহকুমা বনধের ডাক দিয়েছে।
তারই মধ্যে আজ সকালে খুনের ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিরঞ্জন বৈষ্ণব তপন কান্দুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সবসময় তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। সেদিনকার ঘটনার সাক্ষীও ছিলেন তিনি।
পরিবারের দাবি, পুলিশ লাগাতার জেরা করছিল নিরঞ্জনকে৷ সময়ে অসময়ে ডাক পড়ছিল থানা থেকে৷ আর তাই মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত হয়ে পরেছিলেন নিরঞ্জন৷ যে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে তিনি রাতে থাকতেন না বলেও খবর পরিবার সূত্রে৷
সেই ঘরে আজ ভোর ৬ টা নাগাদ ঢুকেছিলেন নিরঞ্জন। তারপর বেলা একটু বাড়তেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। তাঁর মৃতদেহের পাশাপাশি ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তাঁকে কি আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হলো, এখন সেই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন