শম্পা গুপ্ত : তপন কান্দু খনের ঘটনার তদন্তের ভার নোয়ার পর এই প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআইয়েকর তদন্তকারী অফিসারেরা। ধৃত ব্যক্তির নাম সত্যবান পরামানিক। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঝালদা শহরে তার একটি হোটেল রয়েছে। এদিন পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয় সত্যবান পরামানিককে। তাকে চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন জানান সিবিআই-এর আইনজীবী। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
সিবিআই জানতে পেরেছে, তার হোটেলে বসেই খুনের ছক তৈরি করা হয়েছিল। এই খুনের ঘটনার জন্য যে সুপারি দেওয়া হয়েছিল, তা লেনদেন করেছিল ধৃত এই ব্যক্তি। হোটেলের ব্যবসা ছাড়াও সত্যবান হেঁসাহাতু হাই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিল। এই ঘটনায় ধৃত নরেন কান্দুর সঙ্গে তার ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
তার সন্ধান পেতে মঙ্গলবারই সিবিআই আধিকারিকরা তার গ্রামের বাড়ি হেসাহাতুতে হাজির হন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ধৃত কলেবর সিং, নরেন কান্দু এবং মহম্মদ আশিক খানের সঙ্গে বসিয়েও জেরা করা হয় তাকে। তাকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এই গ্রেপ্তারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি বলেন, এই খুনের ষড়যন্ত্রে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। তাদেরও সিবিআই এক এক করে গ্রেপ্তার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তপন কান্দু হত্যার ঘটনায় এপর্যন্ত মোট পাঁচ জন গ্রেপ্তার হল। জানা গেছে, ১৩ মার্চ তপন কান্দু হত্যার আগে একটি বাইকে করে রেইকি করেছিল কলেবর সিং। সাত সেকেণ্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে তা দেখা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন