Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২

BONGAON MUNICIPALITY : শপথ নিলেন বনগাঁর জয়ী কাউন্সিলরেরা

 

The-winning-councilors-of-Bangaon-took-oath

সমকালীন প্রতিবেদন : বুধবার দুপুরে শপথ নিলেন বনগাঁ পুরসভার জয়ী প্রার্থীরা। এদিন তাঁদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সংঘমিত্রা দাস। ‌অসুস্থতার কারণে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন নি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ দাস। তৃণমূল প্রার্থীদের পাশাপাশি জয়ী বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শপথ নেন দেবদাস মন্ডল, কংগ্রেস কাউন্সিলর ঋতুপর্ণা আঢ্য এবং নির্দলের চিরঞ্জিত বিশ্বাস।

শপথ গ্রহনের পর বনগাঁ পুরসভার নতুন পুরবোর্ডের প্রধান হিসেবে গোপাল শেঠের নাম প্রস্তাব করেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আঢ্য। এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়ে যায়। এরপর উপ পুরপ্রধান হিসেবে জ্যোৎস্না আঢ্যর নাম প্রস্তাব করেন নতুন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। সেই প্রস্তাবও সবাই মেনে নেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কাউন্সিলরের মধ্যে দপ্তর বন্টনের কাজ হবে। 

এদিন শপথ গ্রহন পর্ব শেষ হবার পর সবাইকে চমকে দিয়ে শপথগ্রহন কক্ষে প্রবেশ করেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। তিনি নিজে বনগাঁ পুরসভার নবনির্বাচিত পুরপ্রধান এবং উপ পুরপ্রধানকে ফুলের স্তবক দিয়ে বরণ করে নেন। 

শুধু এই দুজনকেই নয়, এদিন শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত কাউন্সিলরকেই ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শঙ্কর আঢ্য। এব্যাপারে শঙ্কর আঢ্য জানান, 'প্রাক্তন পুরপ্রধান হিসেবে নতুন পুরপ্রধান সহ বাকিদের বরণ করে নেওয়াটা রীতির মধ্যে পরে। তাই আমি সেই দায়িত্ব পালন করলাম।'‌ 

নতুন পুরপ্রধান হিসেবে গোপাল শেঠ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, 'গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভা এলাকায় আমাদের হার হয়েছিল। সেই পরিস্থিতির বদল ঘটিয়ে এবারের পুর নির্বাচনে আমরা ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছি। ফলে মানুষের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। আমরা সকল কাউন্সিলর যার যার এলাকায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেব। প্রকল্প রুপায়নের জন্য যেমন টাকা আসবে, তা সকল ওয়ার্ডে সমান ভাগে ভাগ করে উন্নয়নের কাজ করা হবে।'‌

এদিকে, শপথ গ্রহনের পর এদিন ছাত্র ও যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে তৃণমূলের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সহ দলের নেতানেত্রীদের সম্বর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, বনগাঁ পুরসভার ৬ বারের জয়ী কাউন্সিলর এবং ৩ বারের উপ পুরপ্রধান কৃষ্ণা রায় কোনও দায়িত্ব না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেঁটে পরেন। 

তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, 'আমাদের টাকার জোর নেই বলে কোনও পদ পেলাম না।' এব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, 'তাঁর বক্তব্যের বিষয়ে কোনও অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।'‌‌






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন