সমকালীন প্রতিবেদন : করোনা পরিস্থিতির কারণে পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্তে এবছরও বাধাধরা নিয়মের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল। দুদেশের হাতে গোনা কয়েকজন প্রতিনিধিকে অনুমতি দিল প্রশাসন। আর দুপারের সীমান্তে দাঁড়িয়ে সেই অনুষ্ঠান দেখলেন দুদেশের মানুষ।
প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তৈরি হয় পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্তে। ভাষার টানে সীমান্তে হাজির হন হাজার হাজার ভাষাপ্রেমীরা। ভাষার আবেগে একাকার হয়ে যায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও পরিস্থিতির কারণে নমনীয় হতে হয় দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরকে।
২০১১ সাল থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটিকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এই উদ্যোগে সামিল হন বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিরাও। ফি বছর দুদেশের প্রতিনিধিরা সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডের ভাষা শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে দুদেশের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু বছর ধরে সেই আনুষ্ঠানিকতা বর্জন করে শুধুমাত্র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। এবছরও এদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেত্রী আলোরাণী সরকার সহ অন্যান্যরা। ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও।
পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সাধারণ মানুষকে শহিদ বেদীর কাছাকাছি যেতে দেয় নি। দুপারের সীমান্তের রেলিং এর ওপার থেকে এই অনুষ্ঠান দেখতে হয় ভাষাপ্রেমীদের। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ তাদের। তাঁরা চান, আগামী বছর যেন করোনার এই অতিমারী দূর হয়ে যায়। ভাষার টানে ক্ষণিকের জন্য হলেও তাঁরা যেন ফের মিলিত হতে পারেন সীমান্তে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন