সমকালীন প্রতিবেদন : ৪৬ বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে নিজের জমির অধিকার ফিরে পেলেন বনগাঁর এক বাসিন্দা। পুলিশের উপস্থিতিতে বুধবার বাড়ি ভেঙে দিয়ে জমির মালিককে তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই ঘটনায় জমির মালিক খুশি হলেও এই বিচার মেনে নিতে পারছেন না ওই জমির দখলে থাকা পরিবার। এই ঘটনাকে ঘিরে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বনগাঁর প্রতাপগড় এলাকায়।
বনগাঁ আদালতের আইনজীবী রতন মুখার্জী জানান, ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বনগাঁর নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের হয় যে, নিলামে খরিদা সম্পত্তি হিসেবে বনগাঁর প্রতাপগড় এলাকায় ১৭ শতক জমি কেনেন নির্মলেন্দু মুখার্জী নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি সেই জমির দখল পাচ্ছেন না। পরবর্তিতে সেখানে অপর পক্ষ বাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করেন। এরপর থেকে শুরু হয় আইনি লড়াই।
আইনজীবী রতন মুখার্জী আরও জানান, ২০০২ সালের ১৫ মার্চ বনগাঁর নিম্ন আদালত নির্দেশ দেয় যে, নির্মলেন্দু মুখার্জীর কেনা ওই জমিতে যে বাড়ি নির্মিত হয়েছে, সেটি অবৈধ। সেটিকে ভারি যন্ত্র দিয়ে ভেঙে দিয়ে নির্মলেন্দু মুখার্জীকে জমির দখল দেওয়া হোক। এই নির্দেশের পর অপর পক্ষ কলকাতা হাইকোর্টে ৩ বার এবং সুপ্রিম কোর্টে ৩ বার মামলা করে। প্রতিবারই আদালত বনগাঁর নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রাখে।
অবশেষে বুধবার পুলিশের উপস্থিতিতে সেই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ করা হয় অপর পক্ষকে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ৪৬ বছর পর অবশেষে নিজেদের জমির দখল ফিরে পেয়ে খুশি এই পরিবারের সদস্য কল্যান মুখার্জী। অন্যদিকে, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের বর্তমান সদস্য শম্পা হালদার, শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসদের দাবি, তাঁরা কোনও বেআইনি কাজ করেন নি। সেই সময়ে এক আইনজীবীর অসততার কারণে এতোদিন পর তাঁদের আজ ঘরছাড়া হতে হলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন