Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১

ভদ্রকালী ও সত্য পীরবাবার ‌প্রার্থনা একই সঙ্গে হয় এই মন্দিরে

 ‌

Prayers-of-Bhadrakali-and-Satya-Pir-Baba

শম্পা গুপ্ত : একই মন্দিরে ভদ্রকালী ও সত্য পীরবাবার পুজো হয় এখানে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে সম্প্রতির এই চিত্র দেখা যায় পুরুলিয়ার হিরবহাল গ্রামে। পুরুলিয়া জেলার ২ নম্বর ব্লকের বেলমা অঞ্চলে হিরবহাল গ্রামে গেলেই এই সম্প্রীতির বার্তা এবং চিত্র নজরে আসবে। বর্তমানেও সমানে চলে আসছে সেই প্রাচীন নিয়ম এবং রীতি নীতি মেনে পুজোপাট। 


গ্রামবাসীদের মতে হরিহর কিংবা ঈশ্বর-আল্লা এক এবং অবিনশ্বর। মন্দিরের পূজারী তপন বাউরি জানা‌লেন, 'এখন থেকে প্রায় পাঁচশত বছর আগে এক সন্যাসীকে মা ভদ্রকালী স্বপ্ন দেন যে, তাঁর একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজোপাট শুরু করতে হবে, তবেই তিনি সিদ্ধিলাভ করতে পারবেন। মা ভদ্রকালীর স্বপ্নে পাওয়া নির্দেশ অনুসারে ওই সন্ন্যাসী  তৎকালিন পুরুলিয়ার এই বিরবহাল গ্রামের অদুরে একটি মন্দির তৈরি করে দেবী মায়ের পুজো শুরু করেন। 


ঠিক ওই সময়েই সত্যপীর বাবাও ওই সন্যাসীকে স্বপ্নে নির্দেশ দেন, একই সঙ্গে ওই মন্দিরে পীরবাবারও পুজো করতে হবে তাঁকে। পীরবাবা স্বপ্নে সন্যাসীকে আরও বলেন, তাঁর পুজো করলে মহামারী সহ অনেক কিছু রোগ থেকে মুক্তি পাবে এই গ্রামের মানুষ। তন্ত্র সাধনায় মগ্ন ওই সন্যাসী পীরবাবার সেই স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরে কিছুটা ইতস্ততঃ করলেও, পরবর্তী সময়ে তিনি মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে একই মন্দিরে মা ভদ্রকালীর সঙ্গে পীরবাবার পুজোপাট শুরু করেন। 


ওই গ্রামের বাসিন্দা সদানন্দ বাউরি, দীনবন্ধু বাউরিরা জানান, সেই প্রাচীনকাল থেকে এখনও পর্যন্ত সমানে চলে আসছে পুরুলিয়ার এই পীরবহাল গ্রামে একই মন্দিরে মা ভদ্রকালীর সঙ্গে সত্যপীরবাবার পুজোও। পুজোর কয়েকটি দিন এখানে মহামিলনের উৎসব শুরু হয়। হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে একই মন্দিরে সকলেই তাঁদের মনস্কামনা পূরনের মানত করে থাকেন। কথিত আছে, বহু মানুষেরই এখানে মানত করার পর তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন