সমকালীন প্রতিবেদন : নদীয়ার হাঁসখালিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত বাগদার বাসিন্দাদের মধ্যে ৯ জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হন বনগাঁ শ্মশানে। এরমধ্যে রবিবার রাতেই ৭ জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বাকি মৃত দুজন বৃন্দাবন মুহুরি এবং জয়ন্তী মুহুরির ছেলে শুভঙ্কর মুহুরি কাজের সূত্রে বাইরের দেশে থাকায় তাঁদের দেহ গ্রামেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার ছেলে গ্রামে এসে পৌঁছানোর পর শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষকৃত্যের জন্য তাঁদের দুজনের দেহও এদিন বনগাঁ শ্মশানে নিয়ে আসা হয়।
দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে বেশ কয়েক ঘন্টা। তারপরে সোমবারও গোটা পারমাদন এলাকা জুড়ে ছিল শোকের ছায়া। এক পলকেই যেন এলাকার সমস্ত খুশি কেউ কেড়ে নিয়েছে, এমনই দম বন্ধ করা পরিবেশ। এরইমধ্যে এদিন সমবেদনা জানাতে এবং সহযোগিতা করতে দুর্ঘটনাগ্রস্থ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ান একটি ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে ফলের প্যাকেট তুলে দেন। আগামী দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিনও ওই গ্রামে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের প্রয়োজনের কথা জিজ্ঞাসা করেন। তৃণমূল নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা প্রতিদিনই এলাকায় গিয়ে ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াবেন। এদিকে, সেদিনের ঘটনায় জখম স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি বাদল সমাদ্দারের এদিন নদীয়ার রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রপচার হয়। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন