Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রোহিঙ্গা শরনার্থী কেন ? (‌‌পর্ব- ৫)‌

 

Why-Rohingya-refugees-Episode-5

রোহিঙ্গা শরনার্থী কেন ? (‌‌পর্ব- ৫)‌

অজয় মজুমদার

রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের খতিয়ান বেশ দীর্ঘ ৷ স্বাধীনতার পরে সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় বর্মী সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী সশস্ত্র বিদ্রোহ ৷ 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'‌ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নাগমিন অপারেশনের সময়ে এবং চট্টগ্রামে আসার সময়ে ১২০০০ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয় ৷ এমনকি বাংলাদেশ সরকার তাদের খাবার দিতেও অস্বীকার করে ৷ ১৯৭৯ সালে মায়ানমার বাংলাদেশ চুক্তি হয়। ফলে রোহিঙ্গাদের উত্তর আরাকানে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় ৷ ফলে প্রশ্ন ওঠে, মানুষকে অস্বীকার করা কি সভ্য মানুষের কাজ ? এই কাজ কি বর্বরতা নয় ? 

‌১৯৮২ সালে সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে মায়ানমারের বাইরের লোক হিসেবে চিহ্নিত করে ৷ তার পরেও শান্তি ফেরেনি। বারে বারে নেমে আসে অত্যাচার ৷ ১৯৯০ ও ২০১২ সালের জাতীয়তাবাদী দাঙ্গা মূলত রোহিঙ্গা বিদ্বেষী ঘটনার রূপ নেয়। সুযোগ বুঝে কেউ কেউ ঘুরিয়ে ইসলামবিরোধী বলে চালাতে শুরু করে ৷ রোহিঙ্গাদের সংবাদ আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে প্রকাশ পায় ২০১৫ সালের প্রথম দিক থেকে ৷ 

বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত মানুষের মর্মস্পর্শী ঘটনা প্রমাণ করে, এই মৃত্যু মূলত প্রানভয়ে অন্য দেশে পালানোর ফল। শুধু কি তাই,তারা আশ্রয় খুঁজেছেন, তখন তারা বারেবারে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন ৷ মাঝ সমুদ্রের উত্তাল জলে একটি করে প্রাণ চলে গেছে ৷ ২০১৫ সালের তিনমাসে ২৫০০০ এর বেশি নরনারী, শিশু ডুবে গেছে বঙ্গোপসাগরে ৷ নৌকাডুবিতে মৃত মানুষের মর্মস্পর্শী ঘটনা প্রমাণ করে, এই মৃত্যু মূলত প্রাণভয়ে অন্য দেশে পালানোর ফল৷

মায়ানমারে সাধারণ মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। প্রাণে বাঁচতে সকলে পালিয়ে আসছেন যেভাবে পেরেছেন। উপকূলীয় শহর মংদওয়ের কাছে তাদের কন্নাপারা গ্রামে ৷ মায়ানমারের সেনারা ওই গ্রামের ১১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে ৷ ১২০০০ বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে কাঠের নৌকা জোগাড় করে পালিয়ে এসেছে ৷ পরিবারে রয়েছে আট দিনের সদ্যোজাত শিশু, আবার একশ পাঁচ বছরের বৃদ্ধও ৷ 

ইউটিউব দেখলে বোঝা যায়, তারা কিভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে ৷ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে ৷ বহু রোহিঙ্গা মেয়েকে দুটি ভাতের বিনিময়ে দেহ দিতে হচ্ছে ৷ এটা অবশ্য শরণার্থী জীবনেরই অভিশাপ। রাশিয়ার প্রেরেস্ত্রইকার পড়ে বহু যৌনকর্মী বেড়ে যায় ৷ যখন সার্কাস শিল্প ধ্বংস হয়ে গেল, তখন বহু সার্কাসের মেয়ে খেলোয়াড় সেদিন দেহব্যবসায় নেমে জীবন বাঁচানোর পথ বেছে নেয়।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন