সমকালীন প্রতিবেদন : নিখোঁজ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকায়। পরিবারের লোকের দাবি, তাঁদের বাড়ির সদস্যকে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিতাই দাস (৫৫) নামের ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বাড়ি গাইঘাটা থানার ছেকাটি এলাকায়। তিনি কুটিয়ালের কাজ করেন। ব্যবসায়িক কারণে তাঁর বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে যায়। আর সেই দেনার দায়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, শনিবার থেকে তিনি হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর কোনও সন্ধান না মেলায় অবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে গাইঘাটা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। এরপর রবিবার বিকেলে গাইঘাটা থানার দেবীপুর এলাকার রেল লাইনের ধারের একটি এলাকা থেকে তাঁর আংশিক ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতদেহের অবস্থান দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সম্ভবত বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে যাওয়ায় মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যদিও পরিবারের দাবি, নিতাই দাসকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর আসল কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আপাতত পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যদি দেখা যায়, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে, তখন সেই অনুযায়ী পুলিশ আইনি পদক্ষেপ করবে বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন