বনগাঁ থেকে দীঘা বাস
বনগাঁ থেকে দীঘা বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। ১ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে গোপালনগর হাইস্কুলের মাঠ থেকে এই নতুন রুটের বাস যাত্রার সূচনা করবেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। আপাতত সপ্তাহে ৪ দিন এই পরিষেবা চলবে। ভোর সাড়ে ৫ টা গোপালনগর থেকে যাত্রা শুরু করে বনগাঁর ডি এন ৪৪ বাসস্ট্যান্ডে ৬ টা নাগাদ আসবে। সেখানে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর হাবড়া, বারাসত, এয়ারপোর্ট, সাতরাগাছি, কোলাঘাট, কাঁথি হয়ে দুপুর ১২ টা নাগাদ দীঘা পৌঁছাবে। ওই বাসই আবার দুপুর ৩ টে নাগাদ দীঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে একই রুট ধরে রাতে বনগাঁয় ফিরবে। অত্যাধুনিক এবং আরামদায়ক এই বাসটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। উদ্যোক্তাদের আশা, এই বাসরুট দীঘায় বেড়াতে যেতে চাওয়া পর্যটকদের খুবই কাজে আসবে।
পুরুলিয়ায় রেকর্ড বৃষ্টি
নিম্নচাপের জেরে পুরুলিয়া জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ২৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত দশ বছরে এই বৃষ্টি রেকর্ড সৃষ্টি করলো। এব্যাপারে পুরুলিয়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বস্তু বিশেষজ্ঞ সুদীপ্ত ঠাকুর জানান, বর্তমানে নিন্মচাপ ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে। ১ অক্টোবর সন্ধের পর আবহাওয়ার খানিকটা উন্নতি হলেও দু এক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২ অক্টোবর থেকে আকাশ পরিস্কার হবে। এদিকে, প্রবল বর্ষণে জল জমে গেছে বহু জায়গায়। এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি ও দেওয়াল। উপড়ে গেছে গাছ। শহরের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমে গেছে। গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন অনেকে। রঘুনাথপুর-১ নং ব্লকের বেনিয়াসোল, আদ্রার মূল বাজারের রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় সমস্যায় ব্যবসায়ীরা।
জলমগ্ন হাবরা পুরসভা
হাবরা পুরসভার ৭ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোটা এলাকা জলমগ্ন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয় গোটা এলাকা। যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে রাস্তা আর জলাশয় দেখে বোঝার উপায় নেই। এলাকায় নর্দমা তৈরি হলেও জল নিকাশি ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে এই দুর্ভোগ। পুরসভায় বিষয়টি জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে নি। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণেই এই ভোগান্তি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসীন্দারা। কিন্তু এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থাও সঠিক নেই। হাবরার এলাকার ড্রেনের জল ঢুকেছে এলাকার একাধিক বাড়িতে। শুধুমাত্র বাড়িঘর নয়, প্রাইমারি স্কুল এবং তার পানীয় জলের কল জলের তলায়। এই কল থেকেই এলাকার মানুষ জল পান করেন। কিন্তু বর্ষার জলে ডুবে থাকার কারণে সঠিকভাবে পানীয় জল নিতে পারছেন না স্থানীয় মানুষ। পুরসভা সূত্রে খবর, যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে।
অসহায় দুঃস্থদের পাশে
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা অতিমারির সময়ে চলেছিল লকডাউন। সেই লকডাউনের সময় থেকে ফুড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টানা এক বছর শতাধিক অসহায় দুঃস্থ শিশু ও বয়স্কদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে হৃদয়পুর নবসোপান নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বৃহস্পতিবার ৩৬৫ দিন পূর্ণ হল সেই ফুডব্যাঙ্কের। এদিন নবসোপানের পক্ষ থেকে ৩৬৫ দিন ফুডব্যাঙ্কের পার হওয়ার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচারক ইডেন লামাসা, নবসোপানের সম্পাদিকা রত্না রায়, সৌভিক ঘোষ, সুপর্ণা মণ্ডল সহ বিশিষ্টজনেরা। ফুডব্যাঙ্কের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কেটে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিচারক ইডেন লামাসা। বিচারপতি ইডেন লামাসা জানান, এই সংগঠনের সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টায় অসহায় ওই শিশুদের খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকদিন দুধ, কেক, বিস্কুটও দেওয়া হয়। পাশাপাশি, নবসোপানের পক্ষ থেকে পথ শিশুদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, নবসোপান হৃদয়পুর অঞ্চলে লকডাউনের সময় থেকেই দুঃস্থ অসহায় মানুষদের দুপুরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি ছোট ছোট বাচ্চাদের দুধ, বিস্কুট তুলে দেওয়া হয় প্রতিদিনই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন