সমকালীন প্রতিবেদন : এক গৃহবধুর চুল কেটে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। উত্তর পরগনা জেলার হাবরা থানার বিড়া বসিরহাটি এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর কয়েক আগে স্থানীয় বৃন্দাবন মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় সোমা মন্ডলের। বর্তমানে তাঁদের একটি সাত বছরের সন্তান রয়েছে। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে সোমা মন্ডল তাঁর বাপের বাড়িতে চলে যায়। সেখানেই থাকতে শুরু করেন।
বুধবার বৃন্দাবন মন্ডল কাজে বের হন। এরপর শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় বাড়ি ফিরে আসেন। বুকে, পেটে যন্ত্রণা হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে তাঁকে হাবরা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় মৃত্যু হয় বৃন্দাবন মন্ডলের।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বৃন্দাবনের এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য পরোক্ষে তাঁর স্ত্রী সোমাকে দায়ী করে গ্রামবাসীরা এরপর সোমা মন্ডলকে ধরে এনে তাঁর চুল কেটে নেয়। সঙ্গে মারধরও করা হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সোমা মন্ডলের সঙ্গে ওই এলাকার আশিস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। সেই জন্যই বৃন্দাবন মন্ডলকে কিছু খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে হাবড়া থানার পুলিশ গিয়ে সোমা মন্ডলকে উদ্ধার করে হাবরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। চুল কেটে মারধর করার ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন