Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে এবছরই

 

Harichand-Guruchand-University

সমকালীন প্রতিবেদন : এই শিক্ষবর্ষ থেকে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। সোমবার এমনই জানালেন নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তপনকুমার বিশ্বাস। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। 

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীনাপাণি দেবীকে '‌বঙ্গ বিভূষণ' সম্মান প্রদান করেন। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছিলেন যে, সমাজের পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়ের মানুষদের কল্যানে কাজ করে গেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুর এবং পরবর্তিতে প্রমথরঞ্জন ঠাকুর। প্রমথ রঞ্জন ঠাকুরের নামে ইতিমধ্যেই ঠাকুরনগরে একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ চালু করেছে রাজ্য সরকার। এবার হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চায় রাজ্য সরকার।

সেই ঘোষনার পর সেদিনই গাইঘাটার চাঁদপাড়া দেবীপুরে কৃষি দপ্তরের জমিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন, করোনা পরিস্থিতি– এইরকম নানা কারণে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়। 

অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে এই শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। সোমবার এব্যাপারে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তপনকুমার বিশ্বাস জানান, 'পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তির জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ শুরু হচ্ছে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২০ সেপ্টেম্বর মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ওই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অন লাইনে ক্লাস শুরু হবে।'

উপাচার্য আরও‌ জানিয়েছেন, 'রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর বিভাগে পঠনপাঠনের জন্য আপাতত বাংলা, ইতিহাস, শিক্ষাবিজ্ঞান এবং জার্নালিজম এন্ড মাস কমিউনিকেশন– এই চারটি বিষয়ের অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২৫ টি করে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অসম, ত্রিপুরা, রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনামধন্য অধ্যাপকেরা নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করবেন।' 

গাইঘাটার চাঁদপাড়া দেবীপুর এলাকায় যে ৮.‌৮ একর জমির উপর এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। পরিকাঠামো তৈরির জন্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং অর্থ দপ্তরের সমস্ত অনুমোদন মিলেছে। রাজ্য পূর্ত দপ্তর যত দ্রুত সম্ভব এই পরিকাঠামো নির্মানের কাজ শুরু করবে। এখন শুধু জমিটির চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। নিজস্ব পরিকাঠামো তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত ঠাকুরনগরে পি আর ঠাকুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য দুটি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানথেকেই নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হচ্ছে বলে উপাচার্য জানান। ‌ ‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন