Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১

তৃণমূলের নতুন বনগাঁ শহর সভাপতি দিলীপ দাস

City-President-Dilip-Das

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব ফিরে পেলেন বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা দিলীপ দাস। এতোদিন এই পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রধান শঙ্কর আঢ্য। সোমবার বিকেলে রাজ্য জুড়ে দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বনগাঁ শহর এবং ব্লকের সাংগঠনিক পরিবর্তনের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। শহরের নতুন সভাপতির নাম ঘোষনার পরই বিদায়ী সভাপতি শঙ্কর আঢ্য নতুন সভাপতি দিলীপ দাসকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। 

ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক আঙিনায় ঘোরাফেরা। একসময় বনগাঁর কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন শেঠের হাত ধরে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান। পরে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল গঠিত হবার শুরু থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের বনগাঁ শহর সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পুরসভার কাউন্সিলরও হন। 

রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক মালিক সমিতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। এখনও তিনি বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক এবং অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের সহ সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এর পাশাপাশি রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব এই নতুন দায়িত্ব দিল তাঁকে।

২০১৫ সালে শহর সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর কিছুটা হলেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন দিলীপবাবু। ফের পুরনো পথ ফিরে পাওয়ায় দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা ব্যানার্জী এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

নতুন দায়িত্ব পাবার পর এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, 'মান অভিমান ভুলে সবাইকে একসঙ্গে দলের হয়ে কাজ করতে হবে। সামনেই পুর নির্বাচন। গত নির্বাচনগুলিতে বনগাঁ শহর অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। সেই হারানো জমি পুণ:‌রুদ্ধারই এখন প্রধান লক্ষ্য।'

বনগাঁ শহরের পাশাপাশি বদল হয়েছে ব্লক স্তরেও। নীলদর্পণ ব্লকের নতুন সভাপতি হয়েছেন কালীপদ মন্ডল। গাইঘাটা পূর্ব, গাইঘাটা উত্তর, গাইঘাটা দক্ষীন, গাইঘাটা ২, গোপালনগর ১ ও ২ এবং বাগদা পূর্বের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন যথাক্রমে শ্যামল সরকার, বিপ্লব দাস, তাপস ঘোষ, শ্যামল বিশ্বাস, সৌমেন দত্ত ও নিশিথ বালা এবং পরিতোষ সাহা। সর্বপরি নতুন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব এখন থেকে সামলাবেন‌ যথাক্রমে আলোরাণী সরকার এবং শঙ্কর দত্ত।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন