Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

সানি লিওনের ম্যাজিক এবার টেলিভিশনের পর্দায়

 

Sunny Leone's magic is now on the television screen

সমকালীন প্রতিবেদন : সানি লিওন মানেই ভরপুর আবেদন। তাঁর ম্যাজিকে বুঁদ তামাম ভক্তকুল। আরব সাগরের তীরের সেই মায়াবী আবেদন নিয়ে কলকাতায় সানি। প্রথমবার বাংলা টেলিভিশনে দেখতে পাওয়া গেল তাঁকে। রিয়ালিটি শো’র অতিথি বিচারকের আসনে সানি। নিজের ক্যারিশমায় ডান্স ডান্স জুনিয়রের সিজন ২ এর মঞ্চ কাঁপালেন। তাঁকে সঙ্গ দিলেন দেব, মিঠুন ও মনামী। খুদে প্রতিযোগীদের নাচ দেখে মুগ্ধ সানি। শিফন ড্রেসে নিজেও কোমর দোলালেন নাচের ছন্দে। মুখে সেই চেনা মিষ্টি হাসি। যে হাসির ক্লান্তি নেই। 

একদিকে ডান্স ডান্স জুনিয়র অন্যদিকে আর এক চ্যানেলে ডান্স বাংলা ডান্স, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের এই নাচের লড়াইয়ে প্রতি এপিসোডেই চমকের বন্যা। সেই চমকে অন্য মাত্রা যোগ করেছেন বলিউডের স্টাররা। সানি অবশ্য শুট শেষে ফিরে গিয়েছেন মুম্বই। তবে রেখে গিয়েছেন তাঁর ম্যাজিক। যে ম্যাজিকের রেশ শেষ হয় না। মুম্বইয়েও তাঁর কাজের চাপ রয়েছে। এমএক্স প্লেয়ারে বিক্রম ভাট পরিচালিত ১০ পর্বের অ্যাকশন সিরিজ 'অনামিকা'তে অভিনয় করছেন সানি। শোয়ের প্রযোজনার দায়িত্বেও তিনি। সিরিজে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করছেন সোনালী সেহগল। ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ২'‌এর একটি বিশেষ পর্বে হাজির হন সানি। এতে প্রতিযোগীদের নাচ দেখে তিনি ভীষণ মুগ্ধ হয়েছেন। সেই জন্য নিজেই মঞ্চে উঠে দোলালেন কোমর। তাঁকে আবার সঙ্গ দিয়েছেন প্রতিযোগিতাটির মূল বিচারক মিঠুন চক্রবর্তী, দেব ও মনামী ঘোষ। 

'ডান্স ডান্স জুনিয়র’ হল কলকাতার স্টার জলসা টিভির আয়োজন। অন্যদিকে, জি বাংলায় অনেক আগে থেকেই প্রচার হয়ে আসছে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ প্রতিযোগিতাটি। তাই দুটো চ্যানেলের মধ্যে চলছে টিআরপি যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যে দুটো আয়োজনেই থাকছে নিত্য নতুন চমক। যার সর্বশেষ সংযোজন সানি লিওন। কলকাতা থেকে সানি নিয়ে গেছেন ‘দ্য বেরা বন্ড’ নামে একটি বই। ইনস্টাগ্রামে বইটির ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘অসাধারণ এই বইটি পেয়েছি কলকাতায়। চিতা ও মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের চমৎকার গল্প। পড়তে বসেই ভালোবেসে ফেলেছি বইটিকে।’

কেমন ছিল সানির পুরোনো জীবন ?‌ পেডিয়াট্রিক নার্স হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছিলেন তিনি। তারপর পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের এক চিত্র সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয়। ২০০১ সাল থেকেই তাঁর গ্ল্যামার দুনিয়ায় আসা। সানি প্রথমে শুধুমাত্র মহিলাদের সঙ্গে পর্ন ফিল্ম করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। ২০০৪ সালে ‘দ্য গার্ল নেক্সট ডোর’-এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। বাবা-মা তাঁকে ক্যাথলিক স্কুলে ভর্তি করে দেন। ২০০৪ সালে অ্যান্টি বুশ প্রচারে নিজের চুল ছেটে প্রতিবাদ জানান। ১৫ বছর বয়স থেকে রোজগার শুরু করেন। কাজ পান জার্মান বেকারিতে। 

পর্ন ছবির বাইরে ২০০৫ সালে একটি টিভি চ্যানেলে তাঁকে প্রথম দেখা যায়। একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে রেড কার্পেট রিপোর্টার হন। সানির জীবনের দ্বিতীয় ছবি ‘ভারচুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওন’। ছবিটি করে তিনি এভিএন অ্যাওয়ার্ড জেতেন। পর্নগ্রাফিতে যা অস্কারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ২০১০ সালে ‘ম্যাক্সিম’ ম্যাগাজিনের সমীক্ষায় সানি মোস্ট ১২ পর্ন স্টারের তালিকায় উঠে আসেন। প্লেবয় এন্টারপ্রাইজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট এরিকসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এই অভিনেত্রীর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন