Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১

কতবার প্রেমে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ? (‌প্রথম পর্ব)‌

 

How many times has Donald Trump fallen in love?

সমকালীন প্রতিবেদন : ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মুহূর্তে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান পার্টির নেতা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কতটা সফল কিংবা তাঁর আমলে আমেরিকা কতটা এগিয়েছে না পিছিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু ব্যাক্তি ট্রাম্প। সেই জীবন কেমন। আমেরিকার এই ধনকুবের আদতে একজন প্রেমিক পুরুষ। বর্ণময় চরিত্র। সৌমদর্শন যুবক। মার্শাল আর্টে পটু। কথাবার্তায় পারদর্শী। এ হেন পুরুষের প্রেমে পড়বেন নারীরা, এ আর বড় কথা কী। জানেন, এখনও পর্যন্ত কতবার প্রেমে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? মেলানিয়া ছাড়াও ফল্গুধারার মতো আর কত নারী এসেছেন তাঁর জীবনে? প্রেসিডেন্টের মসনদে বসার পর যেমন নানা কথা বলে মাঠ গরম করেছেন ট্রাম্প, তেমনই তাঁকে ঘিরেও রয়েছে অজস্র কান গরম করা গল্প। 

ট্রাম্পের জীবনজুড়ে অসংখ্য মহিলার বিচরণ। রয়েছে নানা মুখোরোচক কাহিনী। সেসব গল্পের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রয়েছে অনেক গোপন তথ্য। বলা যেতে পারে, বর্ণাঢ্য প্রেমের জোয়ারে ভেসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যেমন একের পর এক মহিলার সান্নিধ্যে এসেছেন, তেমনই সুন্দরী নারীদের তিনি তাচ্ছিল্য করতেও দু'বার ভাবেননি। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। অনেকেই বলেন, ট্রাম্পের প্লে বয় ইমেজ ছোটবেলা থেকেই। ডোনাল্ড পড়াশানা করেছেন নিউ ইয়র্কের মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। সেটি ছিল বোর্ডিং স্কুল। শুধু ছেলেরাই পড়ত। তবে স্কুলের বিশেষ অনুষ্ঠানে মেয়েদেরও নিয়ে আসা যেত। সেই সুযোগকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাতেন ট্রাম্প। নতুন নতুন বান্ধবীদের তিনি স্কুলের অনুষ্ঠানে নিয়ে আসতেন। এমন কোনও বছর হয়নি যে, একই বান্ধবীকে পর পর দু'বছর স্কুলের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছেন। আর হ্যাঁ, ট্রাম্পের সেসব বান্ধবীরা হতো অবশ্যই সুন্দরী। পোশাকে সুসজ্জিত। 

মেয়েদের সৌন্দর্য নিয়ে ডোনাল্ড বরাবরই বিশেষ সংবেদনশীল। নব্বইয়ের দশকে মিস ইউনিভার্স সংস্থা কিনে নেন ট্রাম্প। তখন থেকেই তিনি আরও বেশি করে সুন্দরীদের কাছাকাছি আসতে শুরু করেন। সালটা ছিল ১৯৯৭। মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগী ছিলেন ২১ বছরের টেম্পল ট্যাগার্ট। প্রতিযোগিতার শেষে তখন গালা উদযাপন চলছে। সেসময়ই আচমকা টেম্পলের প্রতি নজর পড়ে ট্রাম্পের। এগিয়ে যান তিনি। ঠোঁটে চুম্বন করেই তাঁকে স্বাগত জানান। যদিও সেই অযাচিত আলিঙ্গন মোটেই পছন্দ হয়নি টেম্পলের। বরং তাঁর মনে হয়েছিল, অত্যন্ত অশ্লীল ছিল সেই সান্নিধ্য। পরে তিনি নিজেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন সেকথা। আর এক মিস ইউএসএ প্রতিযোগী ক্যারি প্রিজিন। নিজের স্মৃতিকথায় তিনি জানিয়েছেন, রিহার্সালের সময় প্রতিযোগীদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন ট্রাম্প। এমন পোশাক পরতে বলা হত, যা হবে স্বচ্ছ। 

ট্রাম্পের পরিচিতরা বিভিন্ন সময় বলেছেন, প্রতিযোগিতার রিহার্সালের মঞ্চেই ট্রাম্প মেয়েদের দু'টো দলে ভাগ করে ফেলতেন। কারা সুন্দরী আর কারা নন, তার ভিত্তিতে হত সেই ভাগ। আসলে সুন্দরী নয়, ট্রাম্প ভাগ করতেন কারা আবেদনময়ী, তার ভিত্তিতে। ট্রাম্পের এ হেন আচরণ অনেক মেয়ের কাছেই অপমানকর মনে হয়েছে সেসময়। মঞ্চের পিছনে গিয়ে তাঁরা মুখ চেপে ডুকরে কেঁদেছেন। 

ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা জেলনিকোভা। দ্বিতীয়জন মার্লা ম্যাপলস। তাঁরা কতটা আবেদনময়ী, তা নিয়েও ট্রাম্প জানতে চাইতেন অন্যের কাছে। নম্বর দিতে বলতেন। যা তাঁর বালখিল্য আচরণ বলেই মনে করতেন সবাই। এমনকী ১৯৯৭ সালে মিস টিন ইউএসএ প্রতিযোগিতার উপস্থাপক মেয়ে ইভাঙ্কার সম্পর্কে ট্রাম্পের করা মন্তব্যে চমকে উঠেছিলেন সেসময়ের মিস ইউনিভার্স ব্রুক লি। দর্শক আসনে বসে ইভাঙ্কার উপস্থাপনা দেখতে দেখতে ব্রুককে ট্রাম্প বলেছিলেন, আপনার কী মনে হয়, আমার মেয়ে আবেদনময়ী নয়? 

(‌পরবর্তী অংশ আগামীকাল)‌


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন