সমকালীন প্রতিবেদন : একই গ্রামের বিপুল সংখ্যক বাসিন্দার বাড়িতে একসঙ্গে শুনানি নোটিশ পৌঁছানোয় চরম ক্ষোভ ছড়াল গোপালনগরে। গোপালনগর থানার অন্তর্গত গোপালনগর–১ পঞ্চায়েতের নতিডাঙ্গা এলাকার ১০৫ নম্বর বুথে এসআইআর সংক্রান্ত শুনানি নোটিশ পেয়েছেন অন্তত ২৮৬ জন বাসিন্দা। বিষয়টি ঘিরে রবিবার তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ওই বুথের বিএলও-কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০৫ নম্বর বুথের আওতায় থাকা দুটি গ্রামে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২৫০। অভিযোগ, এসআইআর ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দেওয়ার পরও হঠাৎ করে বাড়ি বাড়ি শুনানি নোটিশ পৌঁছে যায়। এতে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তিতে পড়েন বহু সাধারণ মানুষ। রবিবার বিএলও গ্রামে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে বসিয়ে রেখে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।
নোটিশ পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিএলও দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করেছেন। এলাকায় ঘোরাঘুরি করে সময় নষ্ট করা হয়েছে এবং অনলাইনে ফর্ম আপলোড ঠিকভাবে না হওয়াতেই এত মানুষের নাম শুনানির তালিকায় চলে এসেছে।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, যাঁরা নিয়ম মেনে ফর্ম জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের বারবার হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। পরিস্থিতি কিছুক্ষণের জন্য উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও পরে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে বিএলও পরিতোষ মল্লিক সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, অনলাইনে আপলোডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অসুবিধা হচ্ছিল। পাশাপাশি মানসিক চাপের মধ্য দিয়েও কাজ করতে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে তিনি আশ্বাস দেন, সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের উচ্চস্তরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার, এই নোটিশ বিভ্রাটের জেরে সাধারণ মানুষ কবে স্বস্তি পান এবং প্রশাসন কীভাবে এই সমস্যা মেটায়।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন