সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলের ঘরে ডেকে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল বনগাঁর গাঁড়াপোতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত স্কুলের অস্থায়ী কর্মী ট্যুরে সাধু। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্কুলে অন্যান্য ছাত্রী সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল ভবনে ভাঙচুরের পাশাপাশি বনগাঁ–বাগদা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, এদিন তিনতলায় বই জমা দিতে যায় কয়েকজন ছাত্রী। ওই কর্মী প্রথমে তাদের থেকে একজনকে আলাদা করে বাকিদেরকে জোর করে নিচে পাঠিয়ে দেয়। অভিযোগ, এরপর সেই ছাত্রীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে জামা ছিঁড়ে দিয়ে অশালীন আচরণ করে অভিযুক্ত ট্যুরে সাধু। হঠাৎ চিৎকারে অন্য ছাত্রীরা ছুটে এসে ঘটনাটি দেখে ফেলতেই শুরু হয় উত্তেজনা।
নির্যাতিতা ছাত্রী জানায়, “বই জমা দিতে গিয়েছিলাম। দু’জনকে বাইরে পাঠিয়ে আমায় জাপটে ধরে জামা ছিঁড়ে দেয়। খুব ভয় পেয়েছিলাম।” ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
ঘটনার খবর মিলতেই স্কুলে ঢুকে অভিযুক্তকে ধরে মারধর করতে শুরু করেন অন্যান্য ছাত্রী এবং স্থানীয়রা। সেই অবস্থায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বনগাঁ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তবে ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপরেও। উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি করে বলে অভিযোগ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ডলি মিত্র জানান, “ছাত্রীদের মুখে ঘটনা শোনার পরই আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।” পরিচালন কমিটির সদস্য রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এ ধরনের অপরাধ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা ছাত্রীর পরিবারের পাশে আছি।”
অভিযুক্ত ট্যুরে সাধুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে, তার কঠোর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় মানুষ এবং ছাত্রীরা বনগাঁ–বাগদা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসে বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন