সমকালীন প্রতিবেদন : পুরনো ১০০ দিনের কাজ আর থাকছে না। গ্রামীণ কর্মসংস্থানে আরও জোর দিতে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে ফিরছে কেন্দ্রের বহুলচর্চিত এই প্রকল্প। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মনরেগা-র নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ‘পুজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার গ্যারেন্টি’। সেই সঙ্গে কর্মদিবস বাড়িয়ে বছরে ১০০ থেকে ১২৫ দিন করা হচ্ছে। সরকারের দাবি, এই সিদ্ধান্তে কর্মসংস্থানের সুযোগ উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়বে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, বহু বছর ধরে চালু থাকা এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও দর্শনকে আরও স্পষ্ট করতেই এই নাম পরিবর্তন। মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাধারায় গ্রামীণ উন্নয়নের বার্তাকে সামনে আনতে চায় কেন্দ্র। তবে নাম বদলের পাশাপাশি প্রকল্পের কাঠামো, ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক বরাদ্দের নিয়মেও আনা হচ্ছে কিছু সাংগঠনিক সংস্কার। লক্ষ্য– গ্রামে স্থায়ী সম্পদ তৈরি, স্বনির্ভরতা বাড়ানো এবং সামগ্রিকভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দেওয়া।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন কাঠামোয় প্রকল্প দ্রুততর ও আরও স্বচ্ছভাবে কাজ করবে। অতিরিক্ত ২৫ দিনের কাজ গ্রামীণ পরিবারগুলিকে আর্থিক ভাবে আরও সুরাহা দেবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। সার্বিক ভাবে উদ্যোগটি দেশের গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন দিশা খুলে দেবে বলেই দাবি তাঁদের।
তবে বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তকে নামবদল কেন্দ্রিক রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে প্রকল্পের টাকা বকেয়া থাকা, বরাদ্দ কমে যাওয়া ও মজুরি বিলম্বের মতো সমস্যা রয়েই গিয়েছে, সেখানে শুধু নাম পরিবর্তনে কি বাস্তব সমস্যার সমাধান হবে? বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ আরও তীব্র। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র টাকা মুক্তি দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। যদিও কেন্দ্রের পাল্টা সাফাই, অর্থ আটকে থাকার পিছনে দায়ী রাজ্যের ব্যাপক দুর্নীতি।
সব মিলিয়ে, নতুন নাম, নতুন কাঠামো ও অতিরিক্ত কর্মদিবস মিলিয়ে গ্রামীণ কর্মসংস্থানে বড় রদবদলের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। এই পরিবর্তনে সত্যিই কতটা উন্নতি হবে, তা নজর রাখবে গোটা দেশ।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন