Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকার অশান্ত পরিস্থিতির কারণে অনিশ্চিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ

 

Bangladesh-Premier-League

সমকালীন প্রতিবেদন : ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকেই মৌলবাদী ও কট্টরপন্থীদের দাপটে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। লাগাতার অশান্তি ও সংঘর্ষে কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতির জেরে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন করতে চাইছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফলে এ বছর রাজধানীতে আদৌ বিপিএলের কোনও ম্যাচ হবে কি না, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

বিসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকায় ম্যাচ আয়োজনের ঝুঁকি নিতে নারাজ বোর্ড। পরিস্থিতি বিচার করে বিপিএল কার্যত রাজধানী থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী টুর্নামেন্টের শেষ পর্বও ঢাকায় না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার উপর সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই দুই মিলিয়ে রাজধানীতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন বলেই মনে করছে বোর্ড। 

সব দিক বিবেচনা করেই আপাতত ঢাকায় বিপিএলের কোনও ম্যাচ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে সিলেটে বিপিএল শুরুর কথা থাকলেও সেই সূচি নিয়েও অনিশ্চয়তার মেঘ কাটেনি। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণ দেখিয়ে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। যদিও বিসিবির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছেন। 

সাখাওয়াত হোসেনের দাবি, নির্ধারিত দিনেই বিপিএল শুরু হবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে বিপিএল নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ২৬ ডিসেম্বর থেকেই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।” তাঁর কথায়, মাঠ প্রস্তুত, বোর্ডও প্রস্তুত এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাখাওয়াত হোসেন আরও জানিয়েছেন, সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

সিলেট পর্বের জন্য টিকিটের দামও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে বাস্তব পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এর মধ্যেই নতুন করে সংকটে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ৭৭টি প্রথম শ্রেণির ক্লাবের মধ্যে ৪৫টি ক্লাব ঘরোয়া ক্রিকেট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের দাবি, বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে অপসারণ করতে হবে। 

এই আন্দোলনের জেরে ঘরোয়া ক্রিকেট কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। সব মিলিয়ে একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও ক্রিকেট মহলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ– চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বিপিএলের ভবিষ্যৎ থেকে শুরু করে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা, সব ক্ষেত্রেই বড়সড় সংকটের ইঙ্গিত স্পষ্ট।‌‌





‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন