সমকালীন প্রতিবেদন : পাকিস্তানের পেশোয়ারে আধা সামরিক বাহিনীর (ফ্রন্টিয়ার কোর) সদর দফতর কাঁপিয়ে দিল ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সোমবার সকালে দপ্তরের মূল গেট ও অভ্যন্তরে পরপর বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাজুড়ে। পাকিস্তান পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুই আত্মঘাতী হামলাকারী এই হামলা চালায়। বিস্ফোরণের জেরে অন্তত তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একটি আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থাকে এক পাক পুলিশ আধিকারিক জানান, প্রথম আত্মঘাতী বোমারু মূল প্রবেশদ্বারের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিশৃঙ্খলার সুযোগে দ্বিতীয় হামলাকারী দফতরের ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে আরও বিস্ফোরণ ঘটায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার পর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনা ও পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে নিকটবর্তী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশের আধিকারিক মিলন সৈয়দ আহমেদ বলেন, ফেডারেল কনস্টাবুলারি (এফসি) অথবা প্যারামিলিটারি ফোর্সের সদর দফতরকে লক্ষ্য করেই হামলা করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে এবং হামলাকারীদের পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের প্রচন্ড শব্দ শোনার পরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের দাবি, পরপর দু’বার বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। সে কারণে এই হামলায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে প্রশাসনের।
হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উঠছে। বার বার আন্তর্জাতিক মহল এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে। সেই জঙ্গি নেটওয়ার্কই কি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আঘাত হানছে, সেই প্রশ্নও ফের জোরালো হয়েছে পেশোয়ারের এই হামলার পর।
এখনও পর্যন্ত দফতরের ভিতরে আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন