Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

অনশন আন্দোলনের মাঝেই অসুস্থ তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর, ভর্তি হাসপাতালে

 ‌

Mamata-Thakur-sick

সমকালীন প্রতিবেদন : নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে চলা টানা অনশন আন্দোলনের মধ্যেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। ১২ দিন ধরে অনশন চলার পর মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর অবস্থা হঠাৎই খারাপ হয়ে পড়ে। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে ঠাকুরনগর থেকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ির মধ্যেই চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। পরে তাঁকে এইচডিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ অনশন চলায় তাঁর শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে রক্তচাপ, রক্তে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা সহ একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। বনগাঁ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বনগাঁ হাসপাতালের সুপার কৌশিক ধল জানিয়েছেন, হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগের চিকিৎসক দল তাঁর শারীরিক সমস্যার দিকে সর্বদা নজর রেখে চলেছেন। আগের থেকে তিনি ভালো আছেন। 

মতুয়াদের এই অনশন আন্দোলন সোমবার ত্রয়োদশ দিনে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া নেতৃত্বের কাছে অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানান। সোমবার অভিষেকের পাঠানো সেই বার্তা নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে আসেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। রাতে মমতা ঠাকুর জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ও মতুয়া সংগঠনের আবেগ বিবেচনা করে তিনি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন প্রত্যাহার করবেন।

বুধবার দুপুরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। তবে ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রথমে তাঁকে ঠাকুরনগর গ্রামীন হাসপাতাল এবং পরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, এদিন দুপুরে ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। আন্দোলনরত মতুয়াদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ২০০৩ সালে যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশ করার সুযোগ ছিল, তখন তা হয়নি। অটলবিহারী বাজপেয়ী সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং সেই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আজকের এই আন্দোলনে মতুয়া সমাজকে নামতেই হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “মতুয়াদের দাবি ন্যায্য। আমরা আগে থেকেও আন্দোলনের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। এই আন্দোলনকে দিল্লির বুকে নিয়ে যেতে হবে, যাতে কেন্দ্র সরকার মতুয়াদের নাগরিকত্বের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়।”

এদিন মমতা ঠাকুর অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঠাকুরনগর, চাঁদপাড়া, বাগদা এবং বনগাঁ জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ হাসপাতালে ভিড় করে তাঁদের নেত্রীর শারীরিক অবস্থার আপডেট জানতে চান। তৃণমূল নেতৃত্ব এবং মতুয়া কর্মকর্তারা বনগাঁ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন