Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

ঠাকুরনগরে মতুয়াদের অনশন মঞ্চে সাংসদ মমতা ঠাকুরের যোগদান

 

Hunger-strike-of-Motua

সমকালীন প্রতিবেদন :‌ আজ থেকে মতুয়াদের আমরণ অনশনে যোগ দিলেন সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। নি:‌শর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে চলা এই আন্দোলন বুধবার অষ্টম দিনে পড়ল। এদিন তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন মতুয়া ভক্ত অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। সাংসদের উপস্থিতিতে অনশনকারীদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ ও মনোবল তৈরি হয়েছে।

সাংসদ মমতা ঠাকুর জানান, অনশন চলাকালীন তিনি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখেছেন। তাঁর কথায়, “আজ থেকে আমার সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। আমার কাছে মতুয়ারা সবার আগে, মতুয়ারা আছে বলেই আমি আছি। যতদিন না কেন্দ্র সরকার তাঁদের এই দাবি মেনে নেবে, ততদিন এই কর্মসূচি চলবে। আর তাতে যদি আমার জীবন চলে যায়, তাহলে আমি মনে করবো, এই মরণ আমার সার্থক মরণ।”

গত ৫ নভেম্বর থেকে প্রয়াত বড় মা বীণাপাণি ঠাকুরের মন্দিরের সামনে শুরু হয়েছে মতুয়াদের এই আমরণ অনশন। এসআইআর চালুর প্রতিবাদে এবং মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে এই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সংগঠনের কাজে মধ্যপ্রদেশে থাকার কারণে প্রথম থেকে অনশন কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি মমতা ঠাকুর। রাজ্যে ফিরে এসেই বুধবার তিনি এই আন্দোলনে যোগ দিলেন।

গত আট দিনে অনশনকারীদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাম ও কংগ্রেস নেতারা অনশন মঞ্চে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। তবে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের কেউ এখনও ঠাকুরবাড়িতে আসেননি বলে অভিযোগ।

বুধবার দুপুরে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা ঠাকুর প্রথমে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করেন। তারপর প্রয়াত স্বামী কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের সমাধিস্থলে এবং বড় মা বীণাপাণি ঠাকুরের মন্দিরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি অনশন মঞ্চে আসেন ও অনশনে বসেন।

অনশন মঞ্চ থেকে সাংসদ বলেন, “এসআইআর চালু হওয়ায় মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মতুয়াদের স্বার্থে আমি আমরণ অনশন শুরু করেছি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিন এই কর্মসূচির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদ করছেন, আর আমরা ঠাকুরবাড়ি থেকে ধর্মীয় পথে এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

অনশনকারীদের মধ্যে কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, “মা আমাদের পাশে আছেন, তাই আমরা আরও মানসিকভাবে শক্তি পাচ্ছি। নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না দেওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে, প্রয়োজনে মৃত্যুর মুখোমুখি হতেও আমরা প্রস্তুত।”

ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি এখন মতুয়া আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সাংসদ মমতা ঠাকুরের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নতুন গতি ও রাজনৈতিক তাৎপর্য পেয়েছে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন